।।হোক না কবি একটু চরিত্রহীন।।
          দেবপ্রসাদ জানা
             ১৫.৭.২০২০


কবিরা না হয় একটু চরিত্রহীন হলোই।
তাতে কি মহাভারত অসুদ্ধ হয়ে গেল।
কবিতায় কবিতায় যারা প্রেমের ঝড় তোলে।
কত প্রেমিকের মনে কামনার দরজা খোলে।
কত যে ঋতু কবিতায় সাজগোজ করে
কবিরা তার ভেতর কত রঙ ঢেলে সাজিয়ে দেয়।
বাতাসের গন্ধ যাই হোক
বারুদ কিংবা পোড়া লোক।
শিউলি বকুল চাঁপা বেল,এই নিয়েই কবি খেল।
নিকস কালো মোটা সরু
সব মেয়েতে কবির শুরু। - কি?
আরে বাবা কবিতা।
প্রেম পিরিতি রসের হাঁড়ি।
লিখছে কবি তড়িঘড়ি।
সকলে বলবে লোকটা কবি না পাগল।
পূর্ণিমার চাঁদ,নগ্ন গাছ,শিশির শিউলি
আর জঙ্গুলে জোছনা।
পাহাড়িয়া প্রেম, ঝড়ো বাতাস আর পরকীয়া বেদনা।
সব কি কবির কল্পনা?
কবিকে তাই চরিত্রহীন হতে হয়।
প্রেমে অপ্রেমে এক অসীম নৈঃশব্দে গোপনে
ক্ষয়ে যেতে হয় কবিকে। প্রতিদিন।
প্রত্যাখ্যানে শুন্যতার জন্ম।
আকাশের চাঁদ পেড়ে শুন্যতা ভরে দিতে পারে কবি।
মৃত্যুর গাঢ় রক্তিম বিভা কবিতাদর্পনে সিক্ত করতে কবি।
কবির তো কোনো স্ত্রীলিঙ্গ নেই।
তাহলে কবি পুরুষ।
কবি যদি পুরুষ হয় কবিতা নারী।
তাই সিঙ্গার লাগে কবিতার।
অলঙ্করণ লাগে। কবিতা যখন সেজে ওঠে,
অপরূপ সুন্দরী হয়ে,তখনই তো প্রেম আসে,
কামনা আসে চরিত্রহীনতা আসে।
কবি গভীরতায় ভাবতে পারে।
স্বপ্নের পাখিটার ডানায় বসে মনের আকাশে উড়তে পারে।
দুখী মন,সুখী মন, হাসি মন, খুশী মন,
নীলাকাশে ওড়া মন,
সব মনের সঙ্গে কবি নিরলস আলাপন।
হোক না কবি একটু চরিত্রহীন।
তাতে কি?