বনঙ্গা লোকালে রোজ
ভাঙতে ভাঙতে যখন নিজেকে গড়ি,
তখন মনে হয়
নিজের মধ্যে যে অলীক জীবনটা আছে
তা নিত্যকর্মে শেষ হয়ে যাক এবার।
আর ভালো লাগে না।
স্বপ্নরা সব যেন লুকোচুরি খেলছে।
কখনো দরজার কোনে, কখনো আলমারীর পিছনে
কখনো আবার বউ এর আঁচলের তলায় বা ভ্যানিটি ব্যাগে।
বাতাসে যে টুকু অক্সিজেন ছিল
তা জোর করে শরীরের ভেতরে বন্দী করে।
ঠোঁটে একটা সিগারেট দিয়ে বলতে হয় বউকে,
আজ আর কোনো ট্রপিক্স নিয়ে লড়াই করো না।
কিন্তু করে।
বাধার পাহাড় কেটে কেটে একটা রাস্তা যখনি বের করি।
ভাবি এই বোধ হয় সুখ আসবে এই রাস্তা ধরে।
কিন্তু না।
তা হয় না।
আসলে আমরা কেউ ভালো নেই।
সবাই ওই বনঙ্গা লোকালে বসে আছি।
একটুখানি বৃষ্টি যদি আসতো।
ঝমঝমিয়ে এই রুক্ষ মরুভুমির ওপর।
আসে বৃষ্টি আসে
বুকের ভেতর থেকে।
চোখ জুড়ে।
আমি সেই  নিভে যাওয়া প্রদীপের সলতে।
যাতে তেল নেই।
পুড়তে পুড়তে নিজেই পুড়ে  শেষ,
==