কিছু জোনাকি  উড়ে এসে
আলো দেয় মশারীর ভেতরে।
কিছু জোনাকি পাখনা মুড়ে চুপটি করে বসে থাকে
অন্ধকারে -
আলো জ্বালে না
লুকিয়ে দেখে তোমার
বস্ত্রহীন দেহ
সংগমকালে।
কিছু জোনাকি লোভে পড়ে যায়।  
এমন  নক্ষত্রের মতো ফুটে ফুটে জোছনা ভরা দেহ তোমার।
কিছু জোনাকি আলো জ্বেলে
চলে আসে একেবারে তোমার
বুকের ওপর।
তুমি কি দেখেছো তাদের
অন্ধকারময় জোনাকির আলোয়?
কিংবা আমার চোখের
আয়নায়?  
দেখতে চাওনি?
নক্ষত্র যখন আলো নিভিয়ে দেয়?
আলো জ্বালে জোনাকি।
মশারীর বাইরে, ভেতরেও।
আলোক খোঁজে ছায়ার তনু।
ঘুমের ঘোর কাটে যখন-
রাত্রি নামে -ছায়ার মায়াবী
সঙ্গম স্রোতে সে মাতাল হয়।
জোনাকি।
যৌবন যন্ত্রনায় জড়িয়ে ধরে।
আলোক ছায়ার উন্মুক্ত দেহ।
উদাসীন আকাশ কাঁদে
বাতাসের বক্ষে মাথা রেখে।
ভালো বাসা কুসুম ফোটে।
রাতভোর -
অন্ধকারে ভাঙ্গা আলোয়
রক্ষি বাতাস দীর্ঘ শ্বাষ ফেলে
আলোক ছায়ার সুন্দরতম
পিপাসায়-
শুখের চেতনা আনে
নতুন সকাল
ভোর হয়।
ছায়া আলোকের সঙ্গ ছাড়ে
অনিচ্ছায়।
যখন কালো অন্ধকারে
জোনাকি আলো দেয়।
যখন স্তব্ধতা গভীর হতে থাকে
কামুক জোনাকিরা আসে
তখন তাকিয়ে দেখবে
অন্ধকার গভীর ব্যাথায়
জোনাকির শরীরে মিলিয়ে
যাচ্ছে।
তোমার ঠোঁটের ওপর জোনাকি আলো ফেলে  
এই ঠোঁটের
স্পর্শ ও তাপে,  
আজ পৃথিবীর বুকে
ঝড় ওঠে -
সমুদ্র কাঁপে।
আকাশে বসন্ত আসে।
হিংসায় সূর্য ওঠে
অকালেই।
  
======