।।কে তুমি অলক্ষ্যে।।
    দেবপ্রসাদ জানা
      ১৬.৬.২০২০


কে তুমি? কে গো তুমি? অলক্ষ্যে।
বিছিয়ে রাখো আকাশে নীল রঙের চাদর ।
কে গো তুমি?
ছড়িয়ে দাও নানা রঙের আবীর মহাকাশে।
সাত রঙে ভরে দাও আকাশের গায়।
সুন্দর রামধনু এঁকে দাও।
সাদা রঙের মেঘপুঞ্জ আঁকো নীল আকাশের গায়ে।
পাহাড় করো পক্ষীরাজ ঘোড়া করো।
সোনালী আলো জ্বেলে।
কে তুমি অলক্ষ্যে বসে ছবি এঁকে দাও।
পৃথিবীটাকে নিজের হাতে বন বন ঘোরাও।
একা তুমি, কেমন করে এত বল নিয়ে খেলো।
কেমন করে মেপে মেপে সব কটা বল ছোঁড়া ছুঁড়ি করো।
জানি না বাবা কত শক্তি তোমার দুই হাতে ধরো।
মেঘ করে বৃষ্টি দাও,আগুন আগুন সূর্য ধরো হাতে।
কে তুমি মায়ের জঠোরে জীবনের বীজ বোনো।
তাহলে কেন এত কষ্ট দাও আমাদের?
বোধের বিপুল বিস্ময়ে ক্লান্ত পৃথিবী। ছুঁলেই অসুখ।
দূরত্ব বাড়ছে একে অপরের সঙ্গে।
কী কঠিন অসুখ আমাদের। দেখতে পাওতো সব।
বিপন্ন পৃথিবীর মানুষ, এ প্রজন্ম টগবগিয়ে
ছুটছে কোন সে পথে?
কোথায় আছে থামার সংকেত।
হাইটেক সভ্যতার আগ্রাসনে যাচ্ছে কোথায় পৃথিবী।
একটা পরমানুকনা কোথায় নিয়ে ফেলতে চাইছে।
কেন এত অসুখে অসুখে জর্জরিত করে ফেলছো।
রক্তে রক্তে বিভাজন।
বর্ণে বর্ণে বিভাজন।
ধর্মে ধর্মে বিভাজন।
কেন?
কিঞ্জল চোখের গভীরে প্রতিহিংসার ক্ষুধা কবে শেষ হবে?
বাঁচার চৈতন্যে প্রতিধ্বনিময় স্বপ্নের উদ্দাম রোদ্দুর চাই।
দাও, দয়া করো প্রভু।
মৃত্যুর ছোঁয়ায় পরিপূর্ণ আঁধার হচ্ছে পৃথিবী।
বোধ, বোধের ভিতরে জীবন।
বোধশুন্য পৃথিবী একদিন পাগল হয়ে যাবে।
আমাদের আরোগ্য তোমার ভিতরে।
তোমার শক্তিশালী হাতে।
যে হাতে তুমি পৃথিবী ঘোরাও, সেই হাতে।
তোমার কৃতঘ্ন আঙুলে আঙুল জড়িয়ে বাঁচতে চাই।
তুমি আন্তরিকতায় শান্ত সুন্দর করো পৃথিবী।।