পদ্য লিখে, গদ্য করি
কবি যার জন্য।
বলতে পার তাদের ঘরে
কে বলে ধন্য।
প্রাণ-জুড়োনো অনেক লেখা
ডাইরি ভরা পাতা।
বলতে পার কাদের ঘরে
খুলে দেখে খাতা।
কাদের ঘরের গিন্নি বলে
লেখো সারা দিন।
সত্যি বলি, এই কথাটা
বলবে অতি ক্ষীন।
ওই যে দেখো আকাশ জোড়া
সূর্য মামা থাকে।
তারেও নাকি সন্ধ্যা বেলায়
আড়াল করে রাখে।
আদ্যিকালের বদ্যিবুড়ো
তাকেও শাসন করে।
দিন-দুপুরে যেখানে যাও
সন্ধ্যা বেলা ঘরে।
রাতের বেলা ডিউটি দেয়া
ছোট মামার কাজ।
ছড়ান আলো সাদামাটা
আইবুড়ো যে আজ।
কবিতা ভরা খাতা গুলো
তুলে দেখায় মোরে।
এর চেয়ে চাষ করলে মাঠে,
গোলা যেতো ভরে।
কবিতা গুলো কমেন্ড করেন
হেসে উঠে বলে।
আপনারা নাকি টাকা ছাপান
নিজের গড়া কলে।
তখন জানি শুধাবে না কেউ
আমার ঠিকানা।
কোন সে গ্রামে চৌরাস্তায়
আমার ললনা।
এপার ওপার সবখানেতে
একই রূপের ছবি।
ফেসবুকে দেয় প্রোফাইল করে
আমি ইসের কবি।
হাজার হাজার লাইক পড়ে
দিনে দুপুরে।
কবিতা লিখে একটা দুটো
সারা বছরে।
আলোর রং হালকা হলুদ
তার রঙটা কালো।
সেই যে যিনি কবির ঘরে
করে আছেন আলো।
কবিতার মতো রুক্ষ গদ্য
তবুও আদর করি।
সেই কবিকে গোলধাঁধায়
আষ্টেপৃষ্ঠে ভরি।
সবখানে তার শাসন চলে
কবিতা গল্প কথায়।
গানের তালে নাচ্ছে পৃত্থি
তারই হাতের তলায়।


==========