কবিতা হবে চালাক চতুর চঞ্চল
কবিতারা যেন ময়লা জামা কাপড় পরে
একটা ভাঙ্গা ষ্টিল ফ্রেমের চশমা নাকে গুঁজে
দাঁড়কাকের মতো দাঁড়িয়ে না থাকে।


সব কবিতার দুঃখ আছে।
তাবলে রাস্তা ঘাটে, পার্কে,
বাগানে মন্দিরের সামনে
দাঁড়িয়ে ভিক্ষা করবে?


যেখানে লোক দেখবে
দুখের গল্প বলবে।
সে কবিতা কেউ নেবে?


কবিতা হবে তেজি, রেসের ঘোড়ার মতো।
কবিতা হবে অগ্নিকন্যা, ঝাঁসিরানীর মতো
ঘোড়ায় চেপে টক টক টক টক করে ছুটবে।
কবিতা কখনো খোঁপায় ফুল গুঁজবে
কারণে অকারণে ভরন্ত বুকজোড়া দেখাবে।


কবিতা ষোলোতে যেমন পঞ্চাশেও তেমন
কবিতা শ্রাবনের একটানা বৃষ্টি শাওনঘটা।


কবিতার গায়ে থাকবে শাড়ি ব্লাউজ পুঁতির মালা জলচুড়ি।
কবিতা কখনো শান্ত নির্জন মাঠপ্রান্তরে অঢেল জ্যোৎস্না।
কবিতা মহুয়ার আসর,মাদলের আদিবাসী নাচ।
কবিতা চাঁদের আলোয় স্থপতির তৈরি করা আরন্যক যুবতী।


কবিতা সন্ধ্যারতি।
কবিতা চিলে কোঠার ঘরে ছাদের কার্নিশে করা পরকীয় যুবতী।


কবিতার শব্দরা আগুনের কথা বলে।
কবিতার শব্দরা প্রেমের কথা বলে।
কবিতার শব্দরা মেঘ হয়ে ভাসে।
কবিতার শব্দরা শুধু ভালোবাসে।
কবিতার শব্দরা ট্রেনের কামরায়।
কবিতার শব্দরা ছন্দ খুঁজে পায়।


বৃষ্টির ফোটা টালির চালে।
অশান্ত বাতাস নৌকার পালে।
দুই শালিকের ঝগড়া মেশা।
বাবূই পাখির কষ্টের বাসা।


কবিতা হোক শুন্যতা
কবিতা হোক ব্যস্ততা।
কবিতা হোক অভিমানে ভরা প্রেমিকার মন।
হোক কিশোরীর শরীর ফুটে ওঠা নম্র কুসুমকলির অমল আভাস।
কবিতা শিউলির বনে, গোলাপী বাতাস।


সদ্যজাত ভোরের সোনালী সূর্যের আলো।
কবিতা হোক মোহময়ী নীলাভ অবয়ব।
কবিতা হবে কিশোরী শরীরের আতীব্র আকুতি
উথাল পাথাল বৃষ্টি মুখর শরীরি অবগাহন।।