এক


।।কবিতাক্ষর।।
দেবপ্রসাদ জানা


হে নবজাতক শিশু,তব স্পর্শে ধন্য
আমি,চেতনার গ্রন্থি ভেদ করে জন্মে
শিশু কবিতা।আমার কলমের রক্তে
প্রতিদিন বেড়ে ওঠে। বড় শান্তি পাই
আমি,শিশু কবিতার,নিত্য আলিঙ্গনে।
পৃথিবীর সর্বসুখ তুচ্ছ করি তারে-
বিশ্ব দরবারে দিতে চাই নব পরিচয়।
নব উল্লাসে,উন্মুক্ত হবে মোর প্রাণ।


তার কচি,হাত দুটি ধরে,সাবধানে
পৃথিবীর কোলে রেখে,পৃথিবী দেখাই।
অস্থির পৃথিবী তারে,অনাদরে,নানা
অছিলায়,নর্দমায়,ফেলে আস্তাকুঁড়ে।
এই কবিতা আমার ,শুধু যে কবিতা
নয়,একটা সন্তান,প্রচ্ছন্ন আড়ালে।


                      দুই


পরিণতি দেখে আমি,আঁতকে উঠেছি
আমার কবিতা কাঁদে,কাগজের ঠোঙা
হয়ে মুদির দোকানে,মুড়ির দোকানে ।
নাড়ি-ছেঁড়া সন্তানের,অব্যক্ত বেদনা,
সুতোহীন টান আছে,অটুট বন্ধনে।
নির্মম পরাজয়ের বেদনার গ্লানি।
দুই চোখে অশ্রুধারা ঝরে পড়ে আজ।
বুকের ভিতরে বাজে,ব্যর্থ তানপুরা।


মর্গের মৃত শিশুর মতো পথে পড়ে
আছে আমার ঔরস জাত সদ্য শিশু।
অন্ধকারে তার মৃত,দেহখানি তুলি -
সন্তান হারা মায়ের মতো আলুথালু
বেশে,আদরে আদরে টেনে আনি বুকে।
ঘুমিয়ে গেছে,হৃদয় টুকরো আমার।