একটা সর্বগ্রাসী মৃত্যু ক্ষুধা জীবনকে ক্রমশ গ্রাস করার চেষ্টা করছে মা।
প্রথমে এক।
একের পরে তিন।
প্রতিদিন একের অধিক।
শিশু ও বৃদ্ধ মুল নিশানা, তুমি বেরিও না মা।
ঘর থেকে বেরিও না।
বাবাকেও বেরতে দিও না।
আমি মুদি দোকানে টাকা পাঠিয়েছি।
ওরা তোমাকে চাল ডাল সব দেবে।
এক সংক্রামক চক্র ঘুরছে ঘুর্ণাবর্তে -
দিক থেকে দিগন্তে, বাতাসে একটা গম্ভীরতা।
মৃত্যু গন্ধে বিভোর পৃথিবীর জন সমুদ্র।
সেই গন্ধ যেন তোমার নাকে না যায়।
বাবাকে বলো সাবধান।
ওরা আসছে, মানুষ নামক পক্ষীরাজে চড়ে।
একটু অসাবধানতা,
ঝাঁপিয়ে পড়বে ঠিক বুকের ওপর।
থেকো না মা, একটু ঘরের ভিতর।
একমাস বড় জোর দুমাস।
তোমাদের সব খাবারের টাকা মুদি দোকানে
পাঠিয়েছি, ভেবো না আমি এখানে ভালো আছি
বের হই না।
একুশদিন পর আমি আসব।


একুশ দিন পর -
মা, আমি এসেছি মা আর কোনো ভয় নেই
এই দেখো।
কই তুমি কোথায়? বাবা কই?
কি হোলো মা কথা বলছ না কেন?
তোমাদের কে দোকান থেকে খাবার দেয় নি?
আমি যে সব টাকা পাঠিয়েছিলাম মা।
এতদিন অনাহারে -
হা ভগবান এই ছিল শেষে।