পতঙ্গের পায়ে
দেবপ্রসাদ জানা
   ৮.৫.২০২১


জানলার পর্দাটাকে,ওরে সরিয়ে দে
ভোরের আলো লাগুক,দেহমন জুড়ে-
সব কালিমা ধুইয়ে,রোদের আনন্দে
সব পাপ মুছে যাবে,সূর্যের আলোকে।
পতঙ্গের পায়ে পায়ে জীবন প্রবাহ,
পরাগরেনুর ছোঁয়া,দেয় ফুলে ফুলে,
বিতরনে পতঙ্গের জুড়ি মেলা ভার
নরম পায়ের সাথে,জীবন চলেছে-
এ ফুলে ও ফুলে ঘুরে ঘুরে,জীবনের
ছোঁয়া,দিয়ে যায় ছোট্ট কীটেরা,অজান্তে।
ডাক হরকরা ছুটে ছুটে দিনরাত-
ঘরে ঘরে চিঠি দেয়,প্রেম বেদনার।
এক নক্ষত্র হাজার গ্রহে আলো জ্বালে,
জীবন চলেছে,দীর্ঘ কোলাহল করে।
বাঘবন্দী খেলা চলে,পৃথিবীর মাঠে,
অলিন্দের নিচে,যন্ত্রে কামার হাঁপরে-
ছকে ছক ফেলে,সাদা কালো করিডরে।
সবাই পারবে এই খেলাটা খেলতে?
সবার অলক্ষ্যে বাড়ে,পাপের পাহাড়
টপকে যেতেই হবে,লোভের পাঁচিল।
ঘাসের ডগায় বসে,একটা শিশির
বিন্দু,সামান্য জীবন বায়ু,সমুদ্রের
গভীরে,প্রাণের গূঢ় শর্ত পান করে-
মনে রাখি নারে কেউ পতঙ্গের কথা
তার পায়ে বাঁধা ছিল,জীবন আমার।