রবীন্দ্রনাথ
দেবপ্রসাদ জানা


তুমি যে রবীন্দ্রনাথ,তুমি কবিগুরু
তুমি কি তেমনি করে আসবে আবার?
গল্প গানে উপন্যাসে,আনন্দে ভরিয়ে
দেবে প্রাণ,কবিগুরু,হে রবীন্দ্রনাথ
একশ ষাটের এই আবির্ভাবে আমি,
তোমার গানেই দেবো শত শ্রদ্ধাঞ্জলি।
বকুলতলার বেদী,খালি আছে আজো
পলাশ ফুলের রঙ এখনো রক্তিম
বসন্ত এখনো বসে তব অপেক্ষায়।
বৈশাখী বরষা মেঘ হয়ে ভাসে,বৃষ্টি
নামেনি এখনো,তুমি কি তেমনি করে
আসবে আবার,এই আমাদের মাঝে।
হে মহান,হে ঠাকুর হে রবীন্দ্রনাথ।
আঁকাবাঁকা ছোটনদী সেথায় এখনো
তিরিতিরি হাঁটুজলে পার হয় গাড়ি।
পাগলা বাউল এসে ঐ দাঁড়িয়ে আছে
বসন্তের গায়ে ঘেষে,হলুদ রঙের
শাড়ি পোরে রাধাচুড়া,ময়না দীঘির
ঘাটে,ময়নাদীঘির কালো জলে পদ্ম
ফোটেনি,তোমার জন্য দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে
নইয়ে পড়েছে,কবি আর কেন দেরি?
চলে এসো,গানে নিয়ে,বিশাল একটা
মন নিয়ে,গল্প গানে উপন্যাসে এই
পৃথিবী ভরিয়ে তোলো,কবি তুমি কষ্ট
পাওনি,নোবেল খানা চুরি গেছে তাও?
আছড়ে পড়ছে হেথা ঝড়ের বাতাস।
ঝাওয়ের বনে টানা,শো শো আওয়াজ
উদাসী বাউল গান ধরেছে দোতারা
হাতে,প্রকৃতি নিষ্ঠুর হয়েছে এবার
অভিমানী জননীর আবেগী ক্রন্দনে।
ব্যস্ত মানুষ প্রকৃতি। প্রতিশোধে ত্রস্ত।
হারিয়ে যাওয়া শব্দ,হাহাকার করে-
বঙ্গবাসি ভাষাহারা বোবা তোতাপাখি।
তোমার ভাষা আমার ভাষা হারিয়ে না
যায়,এসো কবি ত্বরা এসো সঙ্গে এনো
সাগরমধু সুকান্ত, সুকুমার রায়।।