দেখেছ রানার,
তোমার কথা আজ সবাই ভুলেই গেছে।
আমি ভুলিনি। আমি যে আজো দেখি তোমাকে।
তুমি যে আজও ছুটে চলেছো -
পিঠের বোঝাটা নিয়ে দূর দূরান্তে,
দিক থেকে দিগন্তে।
কত দুঃখ,কত কষ্টের বার্তা মনোবন্দী করে।
কত সুখ, কত আশা সঙ্গে করে
ছুটে চলেছ আজো।
অথচ ওরা তোমাকে মনে রাখেনি।
তোমার হাতের বর্শাটা আজো
যে তোমার হাতেই আছে।
কেউ মনে রাখেনি। কেউ দেখেনি।
বনে জঙ্গলে, ভালো পথ,খারাপ পথ, কোনো বাধাই
সেদিন মাননি। সব ভেঙে চুরমার করে,
মাড়িয়ে চলে গেছ ঐ খবরের বোঝাটা নিয়ে।
ঝড় বৃষ্টি বজ্রপাতে ও আটকাতে পারে নি তোমাকে।
তোমার ঘরে আজো অভাবের ছবিটা দেখি।
আছো। আজো আছো তুমি।
সময়ের সঙ্গে সুধু তোমার রূপটা পরিবর্তন হয়েছে।
যুগে যুগে বদলে নিয়েছ কাজে প্রকৃতি।
তুমি তার হয়ে গেছো টেলিফোনের।
দূর দূরান্তে পাড়ি দিয়েছ তাতে ভর করে।
সুখ দুঃখ আশা ভরসা আলো অন্ধকার
সব বয়ে নিয়ে গেছ তাতে।
কখনো সুখের সন্দেশ।
কখনো দুখের রেশ।
তখন ডাকাত ছিল। এখন চোর।
তার চোর। কেটে নিয়েছে কতবার।
তবুতো ক্ষান্ত দেওনি কাজে।
বাবার অসুখে ছুটে যাওনি সব ফেলে।
এখন বায়ু।
বাতাসের কাঁধে ভর করে আজো ছুটে চলেছ
সুখ দুঃখ আনন্দ সঙ্গে করে।
ভালো খবর।
মন্দ খবর।
সুখের খবর।
সেখানেও তোমার অনেক বাধা।
ঝড় ঘূর্ণিঝড়। সাইক্লোন। আয়লা ফনি বুলবুল।
তবুও আনন্দের খবর নিয়ে,বাতাসের পাঠে চড়ে
আরো দূর আরো বহু দূর পাড়ি দিচ্ছো এখনো।
রানার তুমি মৃত নও। জীবিত।
এসেছ নতুন হয়ে নতুন মানুষের দরবারে।
রানার তুমি আজো ছুটছো -
ছুটে চলেছ বার্তা কাঁধে নিয়ে দিক দিগন্তে।