বায়না ধরেছে ছোট্ট খুকি
রথ টানবে আজ।
ফুলের মালা, রঙিন কাগজ
হরেক রকম সাজ।
কাঠের ঘোড়া,চাঁদের মালা
জগন্নাথ এর মুর্তি।
রঙিন দড়ি,রঙিন রথে
কতই না তার ফুর্তি।
কাগজ কেটে রঙিন মালা
রঙিন ফুলের কাজ।
বাগান থেকে পাতা বাহার
কেটেছে কতক গাছ।
মুর্তি গুলো আষ্টেপৃষ্ঠে
বেধেছে রথের সাথে।
টানতে গিয়ে পড়ে না যায়
ইট নিয়েছে হাতে।
ঠাম্মি দাদু সঙ্গে যাবে
কাঁসি ঘন্টা নিয়ে।
নকুলদানা গুজিয়া আর
ফলের বাটা দিয়ে।
ধুপ জ্বেলেছে প্রদীপ সাথে
টুনি জ্বলবে রাতে।
আঁধার হলে আলো দেবে
টর্চ নিয়েছে হাতে।
ঢং ঢং ঢং ঘন্টা বাজে
বাজে কাঁসর শাঁখ।
নানান রঙের রথ চলেছে
চলছে হাঁক ডাক।
ছোট্ট দড়ির ছোট্ট টানে
রথের চাকা ঘোরে।
ছোট্ট চাকা সামলাবে কি
হঠাৎ হঠাৎ পড়ে।
হাতের ইটটা রথে ভেতর
দিল ইপ্সা রেখে।
ভাঙা চোরা রাস্তা দিয়ে
চলছে এঁকে বেঁকে।
একে একে সবাই মিলে
দড়িতে দিল টান।
প্রনাম করে কেউবা আবার
প্রসাদ হাতে পান।
সন্ধেবেলা টুনি জ্বেলে
রথ চলেছে ঐ।
টানছে বুড়ো টানছে বুড়ি
ছেলে ছোকরা কই।
মোবাইল হাতে লুকিয়ে গেছে
সেই অন্দর মহলে।
রথের দিনে পাঁপর কিনে
খাচ্ছে দুলে দুলে।
জগন্নাথের মাসির বাড়ি
যাবে রথে চোড়ে।
আটদিন সে খাবে বসে
বা এথায় ওথায় ঘুরে।
মেলাও চলে আটটা দিন
হরেক রকম জিনিস।
সাজ সরঞ্জাম সবই পাবে
সঙ্গে করে আনিস।
রথ চলেছে দুলে দুলে
পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে।
মিষ্টি মিষ্টি গান বাজে
নানান সুরে সুরে।
বাদাম পাঁপড় জিলিপি
আর খাস্তা গজা খাই।
নতুন নতুন হরেক রকম
খেলনা কেনা চাই।
মেলায় ঘুরে দোলনা চড়ে
শেষ পয়সা এক কাঁড়ি।
রাত হয়েছে চল না এখন
রথের মেলা ছাড়ি।
===