বড় কষ্ট হচ্ছে তাই না?
হবেই তো পুরো চল্লিশ দিন ঘর বন্দী।
কদিন আগেও এর থেকে অনেক বেশী কষ্ট হতো।
যে পৃথিবী তোমাদের এত দেয় তাকে তোমরা নষ্ট করছিলে।
এই পৃথিবী তোমাদের প্রয়োজনের অধিক অক্সিজেন দিয়েছে।
পেট ভরে খাবার দিয়েছে।
ভালো ভাবে থাকার ঘর দিয়েছে।
গাড়ি দিয়েছে,উন্নত পোষাক দিয়েছে।
আর তার বদলে তোমরা কি দিয়েছ পৃথিবীকে?
যন্ত্রনা। অপরিমিত অন্ধকার।
তোমরা না মানুষ?
না তোমরা আর মানুষ নেই।
তোমরা সামান্য অর্থের  জন্য মারপিট করো।
ধর্ম নিয়ে কাটাকাটি করো।
যেখানে পারছ পৃথিবীর বুকে বিষাক্ত তীর হানছ।
তোমরা পৃথিবীর ফুসফুসে আগুন দিয়েছ।
কত কষ্ট বলতো?
পৃথিবীর নাকে দিয়েছ দূষিত বাতাস।
দেখেছিলে? পৃথিবী কেমন আছে?
দেখনি। না দেখনি। কোনোদিন।
পৃথিবী তোমাদের কে? মা তো।
এখন তোমরা মায়ের সঙ্গে যে ব্যবহার করো,
তাই করেছ।
কি দরকার রাসায়নিক বোমা?
কি দরকার এত যন্ত্রপাতির?
এত বিলাশবহুল গাড়ির?
এত কলকারখানা, এত অপ্রয়োজনীয় প্লাস্টিক।
যার মৃত্যু হাজার বছরেও হয় না।
শুধু পৃথিবীর বুকে বিষাক্ত পোকার মতো সব বিষ করে তোলে।
একবারও ভেবেছিলে শেষে কি হবে তোমাদের?
ভাবনি তাইতো? এত স্বার্থপর তোমরা?
শুধু সংঘাত। কেন?
দিনে দিনে তোমরা দানব হয়ে উঠেছিলে।
সমুদ্র নদী খাল বিল পাহাড় সমতল।
কিছু বাদ দাও নি তোমরা দূষন করতে।
এমনকি বাতাসের সঙ্গেও মিশিয়ে দিয়েছ
বিষাক্ত ধোঁয়া।  ছিঃ।
তোমাদের জন্য সমুদ্রের অবলা জীব তারও ভারি বিপদ।
পশুপাখি তাদেরও মোটামুটি শেষ করে ফেলেছ।
আবার লোক দেখানো সংরক্ষন করছো।
খাবার দাওনি একটুও।
কি করে তোমরা এত নির্দয় হলে বলোতো?
আমি তো তোমাদের এমন ভাবে তৈরী করে পাঠাই নি?
তোমাদের তো আমি উন্নত নিরিহ বুদ্ধিমান জীব করেই পাঠিয়েছিলাম।
আর তোমরা ভয়ানক হিংস্র ও স্বার্থপর হয়ে উঠেছ।
শাস্তি তোমাদের পেতেই হবে।
তাই করোনা দিয়েছি পাঠিয়ে।
হ্যাঁ আমি পাঠিয়েছি যাতে তোমরা, সংযত হও।
নইলে আমার সাধের পৃথিবীকে আমি বাঁচাতে পারব না।