একটা চিঠি লেখা দরকার
মনের কথা,
মুখোশের কথা,বলা দরকার তোমায়।
সিগারেটটা জ্বালিয়ে নিলাম -
একটু সাহসেরও দরকার।
মুখোশের আড়ালে বহুদিন ধরে আছি,
মনের কথাও কারো কাছে বলা হয়নি।
কারো কাছে মন্দ কিছু বলব তারও সাহস নেই।
পারিনি অনেক কিছুই...
তাই চিঠিতে লিখে যাব একবার -তোমাকে।
হাতের সিগারেট টা শেষ
বোতল শুন্য-
বেশ্যা নাচে তালে তালে
অভিসারে-স্বপ্ন যেন।
বেরিয়ে পড়লাম।
তোমাকে, আমার দূর্বলতার কথা -বলিনি।
আমি একটা চরিত্রহীন -অন্ধকারের রাস্তায় বহুদিন।
ওখানে এত ভিড়-কেন?
জিঞ্জেস করলাম রাস্তা দাঁড়িয়ে থাকা সোনালী পাখি কে -
পড়ে আছে একটা লাস-
কেশে কেশে রক্ত তুলছে এখনো -
হাতে সেগারেট জলন্ত,
তাই-?
ধুঁয়ার কুন্ডলী পাকিয়ে পাকিয়ে উঠছে এখনো।
কেউ পেয়েছে কষ্ট কেউ বা আনন্দ...
না বলা কথা গুলো লিখতে কেমন যেন লজ্জা লজ্জা করছে।
আমাদের পাশের বাড়ির বৌদি একদিন দুপুরে ডেকে ছিল।
একটা স্যারিডন ট্যাবলেট দরকার মাথা ধরছে ওনার -
স্বামী বিদেশ থাকে।
কপালের বলি রেখা গুলো...শক্ত হলো নিশ্চয়ই?
ক্রমশঃই আর্কষন বাড়িয়েছে মনে
প্রতিদিন, প্রতিদিন দুপুরে
তুমি যখন ছাদে বসে গল্প করতে মায়ের সাথে -তখন।
কখনও বুঝেছি কখনও বা না বুঝেই-নেশা।
মুখোশের প্রলেপ খসতে শুরু করেছে...
কারোর লাগছে চেনা কারোর অচেনা...লাগছে -
একদিন বাসে প্রচন্ড ভিড় চেপে চুপে উঠলাম -
সামনে এক মহিলা,
শরীরটা চনমন করে উঠল-
শরীরে নরম গরম পরশ -
যাঁরা গেছে হারিয়ে তাঁদের আর খুঁজিনি...কখনো
এখন অনেকটাই নিশ্চিন্ত লাগে...
রঙহীন চেহারাটা বড় বিশ্রী লাগে।
মাথার চুলে পাক ধরছে -
পেটের মেদ ও বেড়েছে -
কিন্তু মন?
তোমার বন্ধুরা এখনো তাকায়।
ওই যে লাল শাড়ি পরে বউটা-
সুন্দরী -ওই যার মেয়ের সাথে -
আমাদের মেয়ে পড়ে -
পুরাতন কথা বেশী লিখে লাভ নেই,
তবে নেই কোন আপোষ ও
জীবনে আকাশ ভেঙে পড়া
একবারই -
তোমার অন্য পুরুষের সাথে সম্পর্ক।
বেলাশেষে আলোর আঁধারে হারিয়েছি অনেকবার  
মুখোশ পরে,
তোমার কাছে নিজেকে-
চরিত্রবান করে তুলেছি অনেকবার,
কিন্তু তোমার এই ব্যপারটা-
মনে বড় আঘাত হানল।
তাই-
ভিড়ের মধ্যেই ঠেলে ঢুকে গেলাম।
এ তো সেই লোক ঠিক যেন আমি।
চিতার আগুনের মতো ধুঁয়া জলন্ত সিগারেটে-
হাতে কালির চিহ্ন,
পথে পড়ে আছে কবিতার খাতা
হৃদয়ের কপাট খুলে -হৃদয়টা বাইরে।
চিঠিটা লিখেই ফেললাম।
দেখো তুমি যেন পড়ো না।
ইতি আমি।