যেন শুয়ে আছি কণ্টকপূর্ণ পালঙ্কে।
একটা নাছোড়বান্দা ঝিমুনি -
অনাবিল আনন্দে আমাকে জড়িয়ে ধরছে।
আমি শেষ সীমান্তে দাড়িয়ে অপেক্ষা করছি তার।
সে আসবে রথে চড়ে।
আকাশ পথে আমাকে উড়িয়ে নিয়ে যাবে।
বাতাসে ভর করে উড়তে পারে তার রথ।
ঠিক পুষ্পক রথের মতো।
নতুবা আমার পিঠে চাবুক মারতে মারতে
ছুটিয়ে বা ঝুলিয়ে নিয়ে যাবে।
আমি অপেক্ষা করছি তার।
ঝিমুনি ক্রমশ বাড়ছে।
আকাশে নীল আলোটাও বাড়ছে।
বাতাসে ভর বাড়ছে।
একটা আতরের গন্ধ পাচ্ছি।
ফুলের গন্ধও আছে।
কারা যেন কাঁদছে,
ফিস্ ফিস্ করে কি যেন বলছে।
পালঙ্কের পাশে বসে আছে কারা?
চিনতে পারছি না।
রথ এসে গেছে, আমি বিনা প্রতিবাদে উঠে পড়লাম।
বেশ কিছুক্ষণ ঝিমুনিটা ছিল।
হঠাৎ কেটে গেল সেটা।
এ কোথায় এলাম?
দেওয়ালে একটা লেখা।
বড় ভালো লাগল।
যদিও গন্তব্যস্থল এটাই ছিল
আসতে সারাজীবন লাগিয়ে দিলে বন্ধু।
===