ঘটা করে ঘটনাটা বলছি
এবার শোনো।
আলোর নীচ আঁধার আসে
পথ নেই যে কোনো।
শিশু দিবস করছি পালন
আলোক দীপমালা
মঞ্চ করে আলোর মেলায়
বক্তব্যের ঠেলা।
মুখোশ পরে চোকশ হয়ে
ভারি ছন্দের ঢেউ।
আসিফা টুইঙ্কল কাঁদে কেন
বলতে পারো কেউ?
রক্তে ভেজা তাদের শরীর
দাগ দিয়ে যায় মনে।
তরতরিয়ে এগিয়ে দেশ
যাচ্চে কোন খানে।
আসিফা,টুইঙ্কল তারা কাকে
দোষ দিয়েছে বলো।
শৈশবেই যে হারিয়ে গেল
তবু শিশু দিবস এলো।
পৃথিবী তাদের মনে রাখে না
আবর্তনের সাথে।
সমানতালে চলছে দেখো
সমাজ যাদের হাতে।
এক শীর্ষনেতার জন্মদিনে
শিশুদিবস ভাই।
হারিয়ে যাক না শৈশব গুলো
শিশুদিবস চাই।
বাড়ুক মন্দ লন্ডভন্ড
করুক সমাজটা।
মাথায় নিয়ে নাচব মোরা
গাইব ভজন টা।
ফুটপাতে ঐ ছেলেটি শিশু
ছেঁড়া জামা গায়।
শিশুদিবসের একটু ছোঁয়া
কেন নাহি পায়?
ধাবায় মাজে বাসন কোসন
কত বয়স হবে?
ভাঙ্গলে কাপ ভাঙ্গলে ডিস
মার খায় না কবে?
শিশু দিবসের শুনেলে কথা
মনে ভারি ভাবে।
আমি যে বড় হয়ে গেছি
শিশু ছিলাম কবে?
দুলছে দোলায় নাগর দোলায়
মেশিন ঠিক করে।
খাতা কলম ডাকছে তাকে
চোখেতে জল ভরে।
শিশু দিবস শুনেছে কানে
তবুও মেশিন চলে।
পেটপুরে খাইনি যে আজ
পেট ভরেছে জলে।
শিশুদিবস ফ্যাসান শোতে
সবার পেছনে দাঁড়ায়
ভালো জামা নেই যে গায়ে
সবাই তারে তাড়ায়।


শিশুদিবস জিন্দাবাদ -