তুমি ভালো আছো তো
তোমার সিন্দুর রাঙা
মুখ খানি খুব দেখতে ইচ্ছে
করছে।
তোমার ঠোঁট, তোমার রাঙা গাল,  তোমার চোখের সেই
কপট চাউনি।
কপালখানি।
ভ্রূ।
হাতের শাঁখা?
আর পরো না বোধ হয়।
সিন্দুর কপালে সাঁঝের বেলা
তুলসি তলায় আর প্রদীপ
জ্বালো না?
কি গো?
এ গুলো তুমি খুব সুন্দর করে
পারতে।
হাতে শঙ্খ নিয়ে দাড়িয়ে
থাকতে। পারতে না বাজাতে
ঠিক মতো।
আজো !
তোমার সেই আটপৌরে কাপড় পরা?
দারুন।
লাল শাড়িতে তুমি
রঙের চূড়া,  
আচ্ছা এখনো তুমি
উচ্ছের ঝোলটা করো?
বেশ ভালো লাগতো খেতে।
সিন্দুর কি -পরো না?
সত্যি !
গুঁড়া সিঁদুর তুমি আমার
গায়ে লাগিয়ে দিতে,
আর হাসতে।
এখনো হাসো সেই রকম?
না বুঝে।
আমি সব ছেড়েছি।
নাটক, কবিতা, গল্প
সব।
সিগারেট ও।
আসলে আমার কাছে
তোমার অনেক কিছু
পাওনা ছিল।
দিতে পারি নি।
শাড়ীটা তোমার ছিল
সিন্দুর পরে, ওটা পরতে
পারতে।
থাক থাক এখন আর
দরকার নেই।
শুধু শুধু-
মা-
তাকে তো ভালো ই বাসতে।
হঠাৎ কি যে হলো।
তুমি চলে গেলে।
শোনো আমার-মাতো?
তাই মাথাটা -
মা বলেছিল।
যেতে।
তুমি শুধু আমার চড় টা
দেখলে?
তোমার খুব লেগেছিল
তাই না?
আমি তো -
যাক থাক সে কথা।
তুমি ভালো আছো?
হয়তো।
তোমার কাছে যেতে
বড় ইচ্ছে করে
কিন্তু -
বোঝাও তোমার মাকে।
দেখাও কত ভালো বাসি
তোমায়।
আছে তোমার সাথে?  
আমার কাছে সিন্দুর আছে
সিঁথিতে দিয়ে দেবো
আবার -
শোভা,  
তোমার রাঙা-ঠোঁটে
লাল লিপষ্টিক।
কাজল দিতে আগে।
আজো দাও?
জানি না
এখন সিন্দুর কেমন লাগবে
তোমাকে -
পাঁচ বছর !
আমরা তো দেখি নি কেউ
কাউকে।
একবার ও মনে পড়েনি?
ঘরে সোনার বরণ
লক্ষ্মী বউ ছিলে তুমি।  
তোমার হাসিমুখ,  
ভালো লাগতো খুব।
জানো? মা একবারো বলেনি
বিয়ে কর।
যেমন অন্য মা রা বলেন।
হাসি-মুখে
প্রতিবার বলেছে
যা নিয়ে আয়।  
আমিই যাইনি
ভয়।
আবারো যদি -
সবাই মিলে  
তোমার বোনেরা।
কেস নাও করতে
পারতে।  
আজো আছে হাতের শাঁখা, গলার হার,  
সোনার শাঁখা বাঁধানো।
নাকের নথও আছে,
সোনার বাঁধা তার।  
শাঁখা যদি না পরো
ক্ষতি নেই।
তুমি নাই
কিসের সুখ ?  
তোমার আগে,  
হাসিমুখ,  
হ্যাঁ
একেলা
আর কতদিন?
অনেক আশা নিয়ে
এই চিঠি।
আসবে কিন্তু।
আমায় না পেলে
এসো গঙ্গার
ধারে, সন্ধাবেলা।
পাবে আমাকে
বর্তমানে ওখানে ই
আমার বাস
======