স্নেহের খোকা,


তোমার কাছে আমার
একটা চিঠি ফেলে এসেছি।
আর একটাও চিরকূটও -
তোমার কাছে থাকবে না কখনো।
কথা দিলাম।
তোমার ঐ আড়ম্বরের সংসারে
আমার  চিঠিটা পড়ে থাকবে আস্তাকূঁড়েতে।
তোমার সময় হবে কি না জানি না।
যদি পারো পোষ্ট করে দিও,
আমার এই বৃদ্ধাশ্রমে,
যেখানে তুমি আমায় রেখে গেছিলে,
তোমার স্ত্রী র অসুবিধা হচ্ছে বলে।
উনার মৃত্যূর আগে ,
উনি শেষবার ঐ চিঠিটা আমায় লিখেছিলেন।
উনি বর্ধমানে পোষ্টিং থাকার সময় অসুষ্থ হয়ে।
অনেকবার করে বলেছিলেন যেতে,
তুমি গেলে না আমাকে ও নিয়ে গেলে না
উনারই পেনশনের টাকায় আজ বৃদ্ধাশ্রম।
তাঁর শ্রাদ্ধে যে নাটক তুমি করেছিলে তা দেখেছি।
তাই বড় ঘটা করে
নিজের শ্রাদ্ধটা তাই সেরে নিয়েছি -
এই স্বপ্নের হোমে,বৃদ্ধাশ্রমেই।
আর স্বপ্ন দেখতে শিখেছি।
গত এক বছরে কোন খবর নাও নি।
বেশ করেছ নাওনি।
এখানে অনেক কথা বলতে শিখেছি খোকা।
তোমার ঐ সুখের সংসারে আমার মত
আবর্জনার কোনো প্রয়োজন ছিল না।
তাই চিঠিটারও কি গতি হবে আমি জানি।
তাই যদি সময় পাও পোষ্ট কোরো -
ভালো থেকো-
তোমার ছেলেকে তুমি ভালো করে মানুষ কোরো,
আমিতো পারিনি তুমি করো।
শুধু একটা অনুরোধ,
পরিচয় পত্রে তোমার বাবার নামটা বদলে দিও।
না হলে তোমাদের সম্মান যেতে পারে
আমার গর্ভে যে তুমি  ছিলে সেটা যেন প্রকাশ না হয়.....
ছেলেকে ভালো রেখো-আর
অপেক্ষা কর,


                         ইতি,
                তোমার মা,