সোপান
দেবপ্রসাদ জানা


খবরের কাগজের প্রথম পাতায়-
তোমার ছবিটা দেখে,অশ্রুজলে চোখ
ভরে ওঠে অজান্তেই,আজ কত বড়
তুমি,তোমার সামনে,যেতে হলে আজ
টোকেন লিখতে হয়,দোরের বাইরে।
তোমাকে ঘিরে সহস্র লোকের বেষ্টনী,
লেখার জন্য তোমার হাতে তুলে দিতে-
হয় ঢাকনা উন্মুক্ত,ঝরণা কলম।
তুমি সহজ সরল,আনন্দ চাওনি,
চেয়েছ,কৃত্রিম খুশি,কৃত্রিম আনন্দ।
চড়া দামে ভালোবাসা,কেনাবেচা করো,
ভাবনা গুলোকে,স্বপ্ন ভেবেছ যে তুমি।
চাহিদা গুলোকে ক্রমে,নিজের অজান্তে
অন্যের ওপর দিয়ে,নিজের হাতেই
নিজেকে হত্যা করতে চাও অনিকেত?
আজ তুমি সাফল্যের শীর্ষে বসে আছো,
বলতো কত আনন্দে আছো অনিকেত?
সিঁড়িটা মূসৃন হলে,একদিন তুমি-
ফিরে আসবেই জানি,ওই স্বপ্ন গুলো-
ফেলে রেখে,আমারই কাছে,এই ঘরে।
কি পাওনি তুমি বলো?জীবনের সব
পাওনা গুলো,তোমার ঝুলিতে নিয়েছ
জোর করে,নারী বাড়ি গাড়ি,আর স্বপ্ন।
তুমি ইচ্ছেমতো সব,নিয়েছ প্রকৃতি-
থেকে,ফল ফুল গন্ধ, আকাশ বাতাস -
অমানবিকতা,সভ্যতা,আর হাসিমুখ।
তুমি লক্ষ্যই করিনি,কখন প্রকৃতি-
জানিয়ে দিয়েছে তার,ধ্বংসের বারতা।
তাকিয়ে দেখেছ তুমি একবার, মৃত -
স্তুপের দিকে?পৃথিবী কি বলছে,তাও
শোনোনি,ফিসফিসিয়ে,প্রকৃতি বলেছে,
সাবধান। ইতিহাস গঠনের পথে
হাঁটছি আমরা,তুমি তখনো বুঝোনি-
এই ঔদ্ধত্য উন্নতি,সব মুছে যাবে-
পলকে,মৃত্যুর কাছে,তোমার ক্ষমতা,
নগন্য,তোমার এই,উন্নত সোপান-
জীবনের বিনিময়ে,যখন তোমাকে
একদিন গ্রাস করে নেবে অনিকেত।
তখন বুঝবে সব বৃথা,সব মিথ্যা।
এখন একটু বুঝে নাও,কোন তরী
কোথা চলে যাবে ভেসে?অজানা দিগন্তে।