খুদে খুদি বারুদ ছিলো  
মৃতের স্তুপে বন্দী ছিলো
ইংরেজ মারার ফন্দী ছিলো।
স্বাধীন দেশের স্বপ্ন ছিলো।
হাতে পায়ে শিকল ছিলো।
গলায় দেশের গান ছিলো।
ফাঁসি যাওয়ার সাহস ছিলো।
হাসতে হাসতে জীবন দিলো।


চাকির হাতে বিষ ছিলো।
খেয়ে মরার সাহস ছিলো।
হাতে ভরা বারুদ ছিলো।
আগুন হাতে লড়াই ছিলো।
ভয়ে ইংরেজ কাবু হলো।


বন্দী ছিলো ভয়ের পাখি।
ঘরের কোনে বোমা রাখি।
স্বাধীন হবে দেশ নাকি।
শহর জুড়ে লড়াই ডাকি।


আজকে যারা গদির লাগি
কাফন ছড়ায় ভন্ড যোগি।
হাসপাতালে হাজার রুগি।
দিন চলে ভিক্ষা মাগি।


এই কি তাদের স্বপ্ন ছিলো
যেই কাফনে বন্দী ছিলো।  
মন্ত্রপুত মশাল দিলো।


নামলো পথে সফত নিয়ে
শহীদ হলো দেশের মেয়ে।


প্রাণের গলায় ফুলের স্তুপ
জ্বালিয়ে রেখে একটা ধুপ
স্রদ্ধা জানায় হয়ে চুপ।


এক মিনিটের স্মরণ বেলা
রজনী বেল জুঁই এর মালা।
জাতীয় পতাকা তোলার খেলা।
লজেন্স বিস্কুট দেওয়ার পালা।


প্রতি বছর একই ছবি
মিষ্টি করে লিখছে কবি
স্বাধীনতার তিনটি ছবি।


আগুন জ্বলে এসব দেখে
কড়া কথার কালি মেখে।
সাদা পাতায় কালি এঁকে।
বুকের জ্বালা পাশে রেখে।


বাঁধি ছড়ার গান
স্বাধীনতার গান।
চলতে থাকে আঁধার  রাতে
খাতা কলম থাকলে হাতে


আলোর মুকুট মাথায় পরে  
নিচে কালো ছাতা ধরে।
গান ধরেছি আবার
মা  আমার  
স্বদেশ আমার।
  আমার বঙ্গ দেশ।
======