ভাবনায়
দেবপ্রসাদ জানা
   ১৪.৪.২০২১


প্রতিদিন একই জিনিস কার ভালো লাগে?
একবার প্রজাপতি হতে চাই-
ফুলে ফুলে,ঘুরে ঘুরে,মধু খাওয়ার মজাটা
উপভোগ করতে চাই।
ফুলের আদরে ঘুমিয়ে পড়তে চাই,
ফুলের চাদর -গায়ে দিয়ে।
দেহের ভেলায় দুলতে দুলতে -
মুখের স্বাদ বদলে ফেলব।
সভ্যতা বভ্যতা জলাঞ্জলী দিয়ে বহতা নদীর মতো
বয়ে চলে যেতে চাই এবার।
একই জিনিস রোজ কার আর ভালো লাগে?
একবার চড়াই পাখি হবো।
অট্টালিকায় অট্টহাসি দিয়ে,বাবুই পাখিকে বলব।
"ওরে বাবুই আমার কত্ত বড় ঘর দেখ"
চড়াই লজ্জায় মুখ লুকিয়ে কাঁদবে।
খড়কুটোর ঘরে আর কতদিন চলবে?
ভাবছি সূর্যকে কাছে ডেকে নেবো -
বলব-এত মাথা উঁচু করে আছো কেন?
কিসের এত দম্ভ?
সূর্য লজ্জায় মুখ লুকিয়ে বলবে
"আমার যে প্রচুর রাগ"
তবে তুমি যখন আছো,আমার কি আর এত সাহস?
তোমার ওপরে যাই?
ভীষণ লজ্জা পেলেও আমি বুক ফুলিয়ে বলব -
তবে-এ।
ফুটপাতের ধারে ঐ উলঙ্গ ছেলেটার মতো
একাকিত্বের সুরে যদি কাঁদতে পারতাম-কখনো,
ওর মতো করে,দুয়ারে দুয়ারে হাত পেতে বলতাম-
সারাদিন কিছু খাইনি মা-
একটু খেতে দেবে?
দুর দুর করে তাড়িয়ে দিত তারা,
নয়তো রাতের বাসি খাবার ভাঙ্গা থালাটার ওপর-
ঢেলে দিতো দূর থেকে।
যে ঘাস গুলো জলের অভাবে আত্মহত্যা করছে,
তার পাশে নর্দমার জলকে বলতাম-
ভাই একটুতো জল দিতে পারতিস?
হয়তো বলত ভয়ে ভয়ে- না গো পারি না দিতে।
এ জল যে উচ্চবিত্তের ব্যবহৃত জল,
ওরা পেতে পারে না।
তাই যে সব সিমেন্ট পাথর দিয়ে ঘেরা।
কোটি টাকা খরচে পাইপ লাইনে বাঁধা।
মুছে গেছে বিস্ময় বিবর্তনের ইতিহাস।
কত যত্নে পূর্বসূরিরা ধনী গরীবের মতো -
প্রজাতির বংশবিস্তার করে গেছেন-
তা কি সহজে ভেঙ্গে ফেলা যায়?
তবু ও এ জিনিসতো আর রোজ ভালো লাগে না।