দেখতে দেখতে কাগজকুড়ানি মেয়েটি
ডাগর হয়ে উঠে।
অনেক দৃষ্টি বুলেট এখন বিঁধে যায়
আপাত উন্মোচিত শরীরে।
ওর নির্লিপ্ততা আমাকে অবাক করে।


নোংরা পোষাক, রুক্ষচুলেও
অনেকেই আস্তে বলে “মেরীজান”।
মেয়েটি না বুঝেই হাসে-
ভুবন ভোলানো হাসি।


যেন এক নাওমী ক্যাম্পবেল
অলিগলি রেম্পে হেঁটে চলে
সকাল বিকেল।


একদিন ডেকে বলি চিনতে পারিস?
প্রশ্নের এপারে আমি ওপারে মেয়েটি
সবকিছু ভুলতে চাওয়ার মানসিকতায়
পায়ের আঙুল শক্ত করে।


হয়ত মনে পড়ে
কোন লোডশেডিঙের মেঘলা রাতে
পলাতক চাঁদ,অসহায় দুচার নক্ষত্র-
ও“মেরীজান”হয়েছিল একে একে অনেকের।
বিনিময়ে এখন সবার ঘরেই নিমন্ত্রণ
আমানি পান্তাভাতে।