একটি কবিতা প্রসবের পর
তার বিকলাঙ্গতার দিকে চেয়ে থাকি।
এ পৃথিবী অনন্ত কবিতায় ধনী হয়েও বার বার এক   কবিরই হাত ধরে।
কিন্তু কবিরা কি পাহাড়ি ঝর্ণা হতে পারে,
সমস্ত উপহাসকে আঘাতে গুড়িয়ে
সাগরের দিকে ঠেলে দিতে?
নাকি তারা অতৃপ্তির আসনে বসে তৃপ্ত হয় কিছু ব্যর্থতায়?


জানি কবিরা বোধহয় কখনো গাঙচিল হয়।
নিজের ডানায় এক উজ্জ্বলতা নিয়ে  শব্দের তীব্রতায় ছড়িয়ে দেয়  কোন অন্ধকার গলির মধ্যে,
যেখানে অনেকদিন কোন আলোর প্রবেশাধিকার ছিল না।
কবিরা বোধহয় সেই পুতুলদের অনায়াসে চিনিয়ে দেয় যারা অনায়াসে রঙ বদলায়।
কিংবা যেটা ভীষণ জরুরী
কোন জৌলুস যাত্রায় তার অন্তিম ঘন্টা বাজিয়ে দেওয়া..


হয়ত এতটুকুই।


জানি সকলকেই তীব্র কিছু পেরোতে হবে,
তাই তীরেও বসি না, ডুবেও যাই না।
তোমারই হাত ধরে তোমারই কাছে আসা
সামনে সমুদ্র বাকি।