তোমার সব শব্দ এই মুহুর্তে যেন স্বেচ্ছাচারী।
কপালের সিন্দুর সীমানা ছাড়িয়ে যেন তৃতীয় নেত্র।
অলৌকিক সেই দৃষ্টির সামনে কবির চার দেওয়ালের অন্ধকার।


এতদিন তোমার হাতে কেউ বিষফল রেখেছিল “মহুয়া বড় মিষ্টি” বলে।
আর তুমি মাতাল হয়ে শরীরের নির্যাসে সাজিয়েছিলে বনেদী শহর।


এই পথ, মরশুমি ফুল, বন্দী মনের মেনে নেওয়া..
জলাশয়ের ঢেউ কিনারায় এসে সঙ্গীহীন চোখ মেলে চাওয়া,
যতকিছু সব কাপড়ের আঁচলে বেঁধে অদ্ভুত এক সফরে হেঁটে যাওয়া।


পাহাড়ের টিলায় স্বপ্নের ঘরবাড়ি ভেবে যারা পা বাড়িয়েছিলো
তাদের কাছে জমা আছে অনেক ব্যর্থতার সাদাফুল।


দেওলিয়া লজ্জাবস্ত্রে ঢেকে দিও।


মহুয়াকে ঘিরে অনেক কাহিনী,
শুধু শেষ কবিতা অনেকেরই লেখা হয়নি।


ব্যাঙ্গালোর ২৫।৩।১৮