তোমাকে  অনেক দিন পর দেখলাম।
কোন ফুলওয়ালীর কাছে ফুল কিনতে এসেছিলে।
তুমি চিনতে পারোনি,তাই আমিই এগিয়ে গেছি।
প্রথম বিস্ময়ের ঘোর কেটে যেতেই তুমি বললে কাছেই আমার বাড়ি "এসো"।
তোমার বসবার ঘরে
নিজেকে বড়ই বেমানান লেগেছিলো।
পা ডুবে যাওয়া গালিচা যেন আরো অনেক কিছই বুঝিয়ে দিলো।
ডিসটেম্পার্ড দেওয়ালে তিনটে ফ্যামিলি ফ্রেম।
কখনো পুরীর সমুদ্রে,কখনো তাজমহলের সামনে,কখনো দক্ষিণের কোন মন্দিরে।
আমি দেখছিলাম যেমন কোন সাধারণ দর্শক গনেশ পাইনের পেন্টিংকে দেখে থাকে।
কয়েকটি সাধারণ প্রশ্ন ছূঁড়ে দিয়ে সামনে এসে বসলে,
যার উত্তর হয়ত শুনতেও চাওনি।
ব্যস্ত গৃহিণীর সুখের অভিনয়ে আর কোন সংলাপ ছিল না।
কোন মন্দিরের স্থাপত্যে এক ত্রয়োদশীকে খোঁজার চেষ্টা যে বৃথা,
কেউ কোনদিন বলেনি আমায়।