হিমানুতীতের অগ্র-ছায়া,
গায়ে না মেখে হাঁটছি একা!
রাত্রি অশ্রু সুদূর ভাসায়,
রেখে যায় শুধু শূন্যতা।
বাহারি রঙের স্মৃতি ?
তা-তো 'মানুষ' নামে ভয় দেখায়!
দুই পয়সার প্রহরীর ভাব?
নয় যে কোনো উচ্চতা।
আমি কিসের তাপে পুঁড়ি?
পৃথিবীর আগুন মানুষ-পুঁড়ায়,রূহ নাহ।
উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা?
না না, নেই আমার।‌‌
তা-তো স্রষ্টারই হাতে!
তিনিই মেলান রাজ-সুখ,
মুছে দিয়ে সব অশ্রুকারীর গণনা।
কেউ কেউ মুক্তি পায়,
কিন্তু তা সবই অশ্রু-চুক্তি।
অকারণের কারণ স্পর্শ -
নিয়ে আনে শুধু ক্লান্তি,
না, থামি নাই।
এখন হৃদয়ের সাথে মস্তিষ্কও জানে-
পিছু তাকানো সৃষ্টির বারণ।
আজ মুক্ত করিয়া বাহু,
দেখাইয়া দেখাইয়া ঘুরি-
অর্জন না ছাই,
আমি তো 'মনুষত্ব' রোগে ভুগী।