আগমনী তুমি কেন ভাসছো জলে,
            আগমনী তুমি কেন ডুবছো জলে,
আগমনী স্মৃতিতে জল লাগাতে নেই,
            তাহলে তা ভারী হয়ে বোঝা থেকে রয়।
আগমনী তুমি কেন দেখছ না-
            তোমারই-তোমারে, বাহ কি সুন্দর তা
মন চায়, মন রয়,
‌            যেন দেই তারে আকার,
             রাখি তারে আকৃতিতে,
             যেন যতনে করে তুলি-
মোর আঙ্গুলে রং লাগিয়ে আর
সেই রঙের আলতো ছোঁয়ায়
             দিয়ে ফেলি তাকে গঠন।
হে আগমনী, বল তুমি কি চাও?
আকাশ আমি তোমার নামে লিখে যেতে পারবো না                                                                                  
কিন্তু আকাশে রাত-তারার সাথে
                  মৃদু সুরে হেসে-হেসে কথা বলার ও  
‌‌      ভিন্নরূপে লালসা দেখিয়ে‌
ভাবানু-ভাবার মাতালের
       ভাগ দিতে পারি।
আচ্ছা, আগমনীর কি ভালো লাগে?
‌‌       আগমনীর কাছে কি আকাশছোঁয়া...
আচ্ছা, আগমনী কাছে কি-
      ‌  আমার সাজানো কবিতা-শব্দ কি
এক অন্য রকম নেশা জন্ম দিতে পারবে?


এখন কবির ভাষায় বলি,
লগনে লগনে নতুন স্মৃতি চাইছে পাখা মেলতে
গগনে গগনে তুমিও কি পারবে-
আমার পাশে থাকতে?
সিঁদুরদামের পুনচক্রে পুরান যদি
আসে আবার পুরানে
পুরান পুরান মিলবে কি আবার?
জড়াবে কি আবার পুরানে?
পুরনো মায়া,পুরনো ছোঁয়া,পুরনো স্মৃতি...
আবার যদি আসে ফিরে!
তুমিও কি আবার স্মৃতির ললনে,
গাঁ লাগিয়ে যাবে কি পুরানে হারিয়ে?
যোগ্য নই আমারই আমি,তবুও চাইছি ভাসতে
হে আগমনী, তুমি সত্যিই কি
আমার পাশে থাকবে?
ভাবনার জগতে ভাবো,দেখার জগতের দেখো...
Love can’t be timed মিলিয়ে নিও।
ভিন্নতার জগতে ভিন্ন আমি,
হারানোর জগতে পুরান আমি।


আবার আসি ফিরে,
‌আচ্ছা,আগমনী বলো-
            তোমায় কত ভালোবাসলে তুমি
আমার মানিয়ে নিয়ে
‌            ‌ আপন করে রাখতে পারবে আর-
বলতে পারবে- “রাখি আমি আমারেই ভালো”,


যখন আমি-তুমি শব্দ মিলে এক হয় অর্থাৎ আমি!
             আগমনী জানো চোখের আড়ালে,
মানুষ নামক বস্তু বদলায়
মানুষ নামক জীব বদলায় না।
আলো আছে অনেক,আলো আছে অনেক
         ‌‌ ‌‌   ফিরাবার পথেরও কমতি নাই
প্রিয়তমা সামনে যাবো চলো,
             পাশে থেকে হাতের ছোঁয়ার স্নেহ-
ভালোবাসা তার নাম,ভালোবাসা তার নাম।
আগমনী,আগমনী কেন হাঁটছো একা,
              তোমার কি আমার সাথে হয় নাই দেখা?