শূন্য, নিশীত, মহেন্দ্র- নীরব  ধাঁধায়  আছে
আকাশ পানের ধ্রুবতারা আজো মুচকি-মুচকি হাসে
সহিবার  তরে  রহে গিয়েছিলাম, কহিবার তরে নয়
সে আজ আমায় মুক্ত করে, আত্মা তো স্পর্শ পেয়ে শীতল!


প্রেমের  হাত কয়জন ধরে নির্ঘাত মৃত্যু জেনে?
যারা রয়ে যায় তারাই জানে,  দেখা হবে পরিশেষে!
বিশ্বাস করো প্রিয়, ওই যে আমি আর তুমি
ক্ষণ  ছুঁয়ে দেখতে গেলে, ধরতে হবে ধৈর্য্যখানি।
রয়ে যাও-রয়ে যাও আমারই  কাছে তুমি,
নিষ্পাপ এই মন জানে কতটুকু ভালবাসি।
ছন্দের পর ছন্দ বিলিয়া আমারে করেছো পূর্ণ,
বিধাতা আমি ধন্য ! বিধাতা আমি ধন্য !


তার হেসে যাওয়া হাসি, বড্ড দেখতে ভালবাসি।
তার তাকিয়ে থাকা চোখ, মনে হয় যেন-
পেয়ে গেছি  কোনো হারানো সুখ।
তার কথার কণ্ঠধ্বনি, আমায় লিখতে বাধ্য করে-
মনঃবাঁশির কোনো চেনা সুরে মুগ্ধ হয়ে আমারই স্মৃতিখানি।


শুনো শুনো হে! যাচ্ছো তুমি কোথা?
রজনীগন্ধা ফুল হয়ে সে আমাতেই  সুবাস ছড়ায়!
নিভু নিভু আলোকিত পথ দুয়ার খোলা আছে,
প্রিয়তমা সামনে যাবো, থেকো মোর পাশে।
পঙক্তে  পঙক্তে লিখে গেলাম তোমারই  নামের বুলি,
সময় পেলে তুমিও লিখো-তোমার স্মৃতিচারণী।