অহিনু একাল, কহিনু সেকাল
                  অহিনু রে আনো মোহিতে
প্রিয়তমা কোথা তুমি?
                   আমি যে আর পারছি না
এই মোহিতে সহিতে
                 শূন্য বাহু, আঁখি করি ম্লান
চলো না মোর সাথে
                   তোমাকে আজ দেখাবোই
রূপ-চাঁদ-জ্যোৎস্নার মুখ…
নিরলস ঘুমহীন ভালোবাসা
                   কে কে বাসে বলো?
স্মৃতি যার, স্মৃতি যার
                   স্মৃতির চরণে পড়িয়া
মোরে করিও না নির্বাক!
ভুলিও না মোরে,ভুলিও না মোরে
                   নিষ্পাপ মনের পেষণে
করিও না সত্তার নীরব ঘাত।
শতাব্দীতে আর মোরে দেখতে পাবে না
হারালে তুমি,
হাঁটবো আমি শূন্য-ছায়ার পথ ধরে
                   স্মৃতিতে করো না মোরে ম্লান
স্মৃতিতে  করো না মোরে ঘাত।
ছুঁয়ে‌ যায়, ছুঁয়ে যায় এ মন তোমার
ক্ষুদ্র পাখি কি শুধুই তোমার
                   মনের পিপাসা মেটায়?
অহিনু, তৃষ্ণার্থ ছায়ার পথে
                    বলো কে লুকায়?
ক্ষুদ্র রে করিয়া ম্লান রেখে নাও মোরে
আমাকে কখনো‌ স্পর্শ করেনি
                    অনুভূতিতে রাজা-বাদশাহর ব্যবধান্
আপন রে করিতে পারিলে আপন
                    পরে আর কে ভাবে পরের ভাবন?
দাড়ি-পাল্লায় মাপলে কম-বেশি হবেই
                     তাই বলে দাঁড়িয়ে দেখবো শেষটা?
আকাশ আমার আকাশেই আছে
                      মাটিতে তো আছেই লেগে
হঠাৎ আমি নাই হয়ে গেলে
তুমি কি কাঁদবে শেষে?
করে নাও মোরে তোমার
                     ভালোবাসার পিরিতে বসিয়া
শুধু বাসবোই ভালো তোমায়
হৃদয় আমার টানছে অহেতু
                      তুমি কি আসবে সাথে?
উড়বে কি সেই আকাশে,
                  যে আকাশ আমায় চিনে
মরিয়া যদি গাছ হই
                  এসোই মোর কাছে
সুবাস ছড়িয়ে বলে দিবোই
                   দেহই গেছে, অস্তিত্ব মরে নাই
তুমি কি চাও বলো...
বৃন্দাবনী এক সের,
মরলে পরে সাত ঘা।
রক্তের আমার তামাক নেশা
                  অন্ধের করিনা আমি ভক্তি
স্নেহ আছে বিধাতার চরণে
                   তুমি পারবে দেখতে শেষটা?
শেষের পাতা খালিই থাকে,
প্রিয়তমা পারলে বুঝে নিও শেষটা।