রাত-দিন সব আলো-আঁধারের খেলা
এই পৃথিবীতেই বসে হারিয়ে যাওয়ার মেলা!
উঁচু উঁচু গাছ, কত বড় সম্মান,
তার মাঝে আমি ক্ষুদ্র বিরাজমান।
নয়নের মায়া ভোঁতা হয়ে কবে জানি মোহ হয়ে কয়-
‘স্বভাবে করেছি ভুল, ইচ্ছায় নয়।’
তারপর হঠাৎ মনে পড়ে-
কারা জানি বলতো মানুষ বোকা নয়!
আদিখ্যেতাই যদি ঐশ্বর্য হয়,
তাহলে ধ্বংস হোক তোমার ওই আনুগত্য,
যার পায়ে হেঁটে যাওয়ার জোরালো শব্দকে-
তুমি নিজের উচ্চতা মনে করো।


‘দুই আর দুই যোগফল চার,
দুই আর দুই বিয়োগফল শূন্য।’
নিয়মটা খুবই সোজা নিয়মটা সবারই জানা
কিন্তু ওই যে এক মুদ্রাদোষ-
পানির চেয়ে সোনার দাম বেশি দেওয়া।
সোনায় না গলা ভিজে,‌ না মিটে তৃষ্ণা।
তারপর একদিন যখন-
অনুতাপ ও অনুশোচনার তাপে সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়
ঠিক তখন নিজেকে নিজেই নিতে পারার
শক্তিটুকুও নিঃশেষ হয়ে যায়।
আর বার বার মনে হয়-
যোগ্য নই আমারই আমি।
নিজেকে নিজেই চুপ করিয়ে দিতে ইচ্ছা হয়।
আর হতাশা? তা‌ আর নতুন কি!
তা তো আগেই ঘাড়ে চেপে ছিল।
সবাই চলে যায় শুধু মনে হয়-
মৃত্যুই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে চিৎকার করছে।
মনে শুধু একটাই কথা ‘মুক্তি চাই, মুক্তি চাই’


তারপর একটা সময়-
কোন কিছুরই আর খোলাসা জানতে ইচ্ছে করে না
নিজের মতই একটা কোনায়-
নিজেকে রেখে দিতে ইচ্ছে করে।
“নিজের উপর নিজেই রাগ করে,
লিখতে না পেরে,
নিজেকে নিজেই সহ্য না করতে পেরে”
এখন এত কিছু হওয়ার পর-
এই কারণগুলো শুনে হাসি পায়
কিন্তু কখনো মনে হয় না আমি ভুল ছিলাম।
ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া মহৎ গুণ।
কিন্তু যে ভুল প্রাণটাই নিয়ে বলে,
‘আরে, দাদা চেকমেট।’
সেই ভুল না করাই ভালো।