তপ্ত দুপুর গড়িয়ে, বিকেল কতো সহজে কাছে আসে তা বুঝিনি আগে,
এটা ভালোবাসা,
কেউ ভালোবাসা নিক বা না নিক,
সে আপন হতে ঢেলে দেয় তপ্ত দুপুরের গায়!
যেমন রাত্রি আসে রজনী গন্ধা হাতে,
ক্লান্তির অবসান ঘটাতে-
তুমি নিত্য সঙ্গী জীবন সচল রাখো,
পাশে থাকো অপেক্ষার সমাপনী টানতে,
শরৎ, হেমন্ত, শীত,, বসন্ত, এক এক করে চুয়াল্লিশ চক্র; তুমি ভাবতে দাওনি, তুমি নেই!


তোমাকে দেবে বলে যারা কথা দিয়েছিল আমায়,
তাদের কেউ তোমায় দিয়ে যায় নি!
দিয়ে যেতে পারে না! তোমায় আঁকড়ে ধরে,
তোমার প্রলোভনে বাকি জীবন চলবে যে!
বিশ্বাস রাখো, বিশ্বাস রাখো মমতা
তুমিও আমায় ছেড়ে যেতে পারো নি,
পারবে না ছুড়ে ফেলতে, দীন হীন হতে ধনীর আছে অনুভূতি, আর আমি তাদেরই সহযাত্রী।


এক সময় ভীষণ আবেগে চেপে বসতে কলিজার কুঠুরিতে,
বেঁধে রাখতে তাদের সাথে।
জানি মায়া, তোমার চোখে ছানি পড়েছে, তবু পিটিপিটি চাও!
আবছা চাহনিতে আজ সবই আকাশের তারা,
ওরা দূরে সরে গেছে বাঁকা পথ বেয়ে, সঞ্চারী সুরে,
তবুও ভোলোনি, ভুলতে দাওনি তারা নেই।


এখন আমি কিষ্টপুরের দক্ষিণে থাকি,
নির্মল নির্জন স্বাক্ষরে ভাবনারা খেলা করে,
স্মৃতিগুলি উঁকি দিয়ে আকাশে মিশে যায়,
তুমি প্রতিমুহূর্ত আমায় ঘিরে থাকো, হয়তো রয়ে যাবে আরো চুয়াল্লিশ চক্র,
তারপর একদিন সমাপনে ধ্রুব প্রকৃতির সুরে বলবে -
ভালোবাসি, তোমায় বড্ড বেশি ভালোবাসি,
আমি কাউকে ছেড়ে যাই না, আমায় সকলে যায় ছাড়ি।


ভালোবাসি, তোমায় বড্ড বেশি ভালোবাসি।


ধৃতি রাজ