আজব অলস সোনার ছেলে শুনেই ভিরমি খাবে
কাজের ধরণ যাদের মেলে হিসাব নিলেই পাবে;
সকাল ভোরে সোনার পুরগা বিছ্না শুয়েই হাঁকে
তুলে দিয়ে যা গায়ের ঢাকা মশারি তাহার ফাঁকে
বোতল জগ না হয় গেলাস গরম জলের সাথে
লেবুর রস মিশিয়ে আনিস চিমটে লবন তাতে
শুয়েই জলের ঝাপটা চোখে লেবুর সরবৎ মুখে
তরাক মরাৎ মাঠের দিকে সকাল বেলায় ছোটে;
ভাবছ মিছে কাজের কথা ভাবছ কাজেই গ্যাচে
বাবলা গাছের তলায় নিদ্রা অটল শুয়েই দিচ্ছে
দুপুর হলেই সটান আসে খাওয়ার ঘরের মধ্যে
খাওয়া তাহার ঘড়ির শ্বাসে চলছে খাওয়া যুদ্ধে
চাহন মায়ের উত্তরে বলে কাজের সংকট ক্ষণে
যাইতো খোঁজে সকাল হলে রোজই কাজের জন্যে
বুদ্ধির জোরে মালিক ধরে ঘন্টার হিসেব কষে
হাতের খরচ আয়ের তরে মিনিটে চুকাই শেষে
তাতেই আমার চলছে দিব্যি সকাল বিকেল হেসে
ঘন্টা মিনিট ছাড়বো ভাবি সেকেন্ড কাঁটায় মিশে
সেকেন্ড হিসাবে টাকার অংক কষছি মাথায় সদা
তামাক বন্ধুর কতোটা সঙ্গ মিলছে কোথায় তথা;
স্বপন তাহার শুনলে জেনো লাগবে সজোর ধাক্কা
বাড়ির ভিতর মাটিই শূন্য সবটাই থাকবে পাক্কা
ইচ্ছের ডানায় উড়বে ভাবে সকাল বিকেল ছাদে
ছাদের স্বগতে মাটির ঢিবে হাটবে ছোঁয়ায় পদে
সুন্দর মানের জীবন গড়বে সেরার তকমা মারা
দিনের সবটা ঘুরেই ফেরা আশায় সেরার সেরা
যেথায় সেথায় ইচ্ছের কথা ঘুরতে ফিরতে বলে
তামাক চাওয়া নাছোড় বান্দা পেলেই অন্যত্র চলে
এমন আজব কাজের ছেলে শোনার মনটা পাবে
ডাকলে কাজে আসার বদলে দূরের সাজেই রবে!


পুরগা> কোন ব্যক্তির ডাক নাম
স্বগত> একধারে
DHRITI RAJ