তোমার মনে, কোন্ শিহরণ জাগে আজি?
কে তুমি পড়িছ, এই কবিতার বই খুলি?
ভালোবাসা নিয়ে ভুলিবে যদি আঘাত অশ্রু বুলি
এ কবিতা তবে, মিছেই খুলিলে
ওহে, খুলিলে তোমার নিসর্গ দ্বার কবি;
আমার কবিতা বয়ে নিয়ে চলে
বেদনা মাখা লড়াই কথা; কল্পেরে দেয় ভেঙে
শুধুই মানবতা মেলে ধরে
যুগের মানবতা দ্বারে দ্বারে।


খুলিয়াছ তবে দেখ চাহি কবিতার দেহ খানি
কত শত ঘাত; চিহ্নের প্রতিঘাত ধ্বনি
সহস্র যুগ আগে তব তরে এ কবিতা গাঁথি
অম্লান সে যাতনা অশ্রু ধাত
দেখ পর্বে পর্বে রাখিয়াছি কত দাগ আঁকি;
এখনও তরতাজা রহিয়াছে আজি বুকে
কল্প ভাঙিতে তব অগ্রজ গিয়াছে পদতলে পিষে
শুধুই দুঃসাহস শিরে ধরে
সাজাই মানবতা থরে থরে।


একবার ভেবে দেখ ক্ষণে বেদনার আখ্যান বুনে
কত অনুযোগ দুর্ভোগ ছিল যুগে যুগে
আজি হতে শত সহস্র সেই হীন দুর্দিনে
কল্প নামে পামর নীর বিভাজন
অস্পৃশ্য অসুচি হেনে; প্রাণ নিয়েছে কেড়ে বর্ণে;
কবিতার রন্ধ্রে রন্ধ্রে পাঠাইলাম বিম্বে
লগন গগন কেমনে প্রাণান্তকর গিয়াছে কেঁপে
শুধুই মানবতা দিয়েছি গড়ে
নির্বাধ অহিংস দ্বারে দ্বারে।


কে তুমি কবি স্মরণ করিছ জীর্ণ দৈন্য দিনগুলি?
আজি, এতযুগ পরে এই কবিতার বই খুলি!
আমার রক্তে রাঙানো দুর্দিন ওষ্ঠাগত আর্ত ধ্বনি
রাঙাবে তব ঔষ্ম জীবন সংগ্রাম
ওহে শূর, সংগ্রাম তব মানবতা তরে গাঁথুনি;
আমার চেতনা দিশা ধৃতি সরবে
তোমার মাথায়; রাজ ধূলি মাখায় গরবে
শুধুই মানবতা মেলে ধরে
যুগের মানবতা দ্বারে দ্বারে।


পামর > নরাধম
ধৃতি রাজ