এবারে ধীরে ধীরে পা ফেলে হাঁটতেই আবারো-
পায়ে পায়ে পা মিলিয়ে  কে হাঁটছে!
ছম্ ছম্ শিহরণ গ্রাস করে নিল আমার নির্ভয় আমার সাহসের দুরন্ত গতি।
দরদর করে বয়ে চলে ঘামের প্লাবন!
ইচ্ছে হচ্ছে, তীব্র চীৎকার করি কিন্তু তার শক্তি নেই!
ইচ্ছে হচ্ছে, ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়ে ঘরে ফিরি কিন্তু পেশী সব নিশ্চল!
সব ইচ্ছেগুলিকে হৃদস্পদনের গতি মিলিয়ে দিচ্ছে রক্ত নালীতে
তবু যেন ঝটকায় ঘুরে দাঁড়ালাম পিছন ফিরে!


দেখি আঁধারের গা জড়ানো একটি শিশু!
এ কি! নিশ্চল নির্বাক!
ভাবনার ঝলক খেলে গেল মনে-
ধরেই দেখি শিশু নাকি অশরীরি কোনও ভূত প্রেত!
গোরস্থানের ঝোপের মধ্যে শপ্ শপ্ শব্দে গোঙানি আসে কানে-
গা হিম হয়ে আসে, গলা শুকিয়ে শ্বাস গুনছি
তবুও হাত বাড়াই শিশুর দিকে
গায়ের সমস্ত শক্তি দিয়ে ধুম্ করে ধরি শিশুর হাত!


"অ্যাঁ"- গগন ফাটা চীৎকারে গোরস্থানের বাকি সব লাশ যেন জাগিয়ে তোলে
থরকম্পে আরো শক্তি প্রয়োগে শক্ত করে ধরি শিশুর হাত
এ যেন মশার গায়ে হাতির পা!
স্পন্দনের উচ্চ হার আর গোরস্থানের মৃতেরা যেন স্বর কেড়ে নিয়েছে
বিকৃত কর্কশ আধস্ফুটে জিজ্ঞেস করলাম-
কে তুই? -


ধৃতি রাজ


আসিতেছে,,,, পর্যায়ক্রমে