বেগুনি নীলে কচুর ফুলে বিলের শোভা পায়
সকাল বিকেল খুশির মিশেল মন রাঙিয়ে যায়
হেঁজল সারের মাথায় নীড়ে পাখির কূজন বিলে
বিলের মাঝেই জীবন জনম, মৃত্যু তাহার কোলে
বাঁশের বেণুর সুর ভেসে যায; চিকন কূজন তালে
মধ্যি পাড়ার প্রাণ ভোমরার, মাতাল করা গানে
বেণু সুরজান মধুর ধুনন ভাসায় স্বপ্ন জোয়ারে মন
প্রাণের সাড়ায় মধ্যি পাড়ায় আনন্দ সে অমূল্য ধন।


বিলের পাড়ে কুঁড়ে ঘরে সরল জীবন তাহার
বাবা মায়ের শ্রমের গড়া; পাঁচ ভাইয়ে সংসার;
ভাইয়ের বড় অনন্য সে, নামে আনন্দ খামারু
সুরের জাদু তাহার বেণু সুরেই-বাঁধে মনের সুচারু;
তাহার সূর্য ওঠে বিলে মাঠে, ডোবে একই ভাবে
হঠাৎ কাজে ফাঁকা হলে পড়সী অচেনা লাগে;
প্রবীণ বাবা মায়ের তরে; ভাই গুলি তার মানুষ হবে
এমন কথা ভেবেই সে যে; গতর গায়ে খেটে চলে।


সাইকেল তার যাত্রা সাথী রাখে আরযে সাথী ব্যাগ
বাঁশের বাঁশি নিত্য সাথী, ঝগড়া করে ত্যাগ
কাজের ফাঁকে মাঠে ঘাটে তাহার সুরের জাদু বেণু
বশ মেনে রয় জন সমুদয়; মাঠের পশু পাখি ধেনু
প্রহর গেলে বুঝতে পারবে আছে আনন্দ কোন্ মাঠে
যেন পাখির মতো প্রহর গুনে জানায় বাঁশির সুরে।


ভোরের বাঁশি ঘুম ভেঙে যায়; ভৈরবী সুর তুলে
সাঁঝের মিশাল ঢেউ তুলে দেয় গহীন মনের কূলে
যাওয়ার সময় পাবে না তাই; ইচ্ছে মতন শুনি
ফেরার পথে অনুরোধে মন; ভরায় অতুল গুণী
খুশির বাহার মনে তাহার লেগেই থাকে আনমনে
চাওয়া পাওয়া সবকিছু তার সুরের মাঝেই মিশে;
আনন্দ তার দুঃখ জয়ে; সে-নামের গুণে আনন্দময়
ভুলেও মনে আঘাত দিলে, রয় যে সদাই স্নেহময়।



DHRITI RAJ
আসিতেছে.... মধ্যি পাড়ার বিল (তিন)