না পেয়ে পাষক হইল ত্রাসক বাধা যাত্রা হতে
জয়ের মায়ের মন টানে না; যাচ্ছে মান রাখতে
চালায় নৌকা জয়ের বাবা, বিলের ওপার টানে
নৌকার মাঝে গৃহিণী বলে মনটা ভারী মানে
ঘণ্টা আধে নৌকা পথে সুখের তরী বায়
মন ভোলাতে মাঝে মাঝে; গুনগুনে গান গায়
মান অভিমান হোক যত মান; মনের গভীর মিল
এমন করেই জীবন জুয়ায় দিচ্ছে পাড়ি বিল।


গানের কথায় কূল কিনারায় পৌঁছে গেল সূজন
নৌকা বেঁধে গাছের গোড়ে অতিথি বাড়ি দুজন
নবাব বন্ধু জনে আপ্যায়ণে; শুধায় কিসে দেরি?
মেয়ে আমায় খোঁজ নিতে কয়; বিপদে কিনা তরী
সকাল ভোরে স্নানের ঘাটে আংটি হারায় হীরা
সোনায় গড়া স্মৃতি মোড়া পায়নি সকাল ভরা
তবুও নিজের হাতে হীরা রাঁধে হরেক রকম পদ
বলে, বাবা আসছে সেযে কুটুম্বিতে বন্ধু তোমার খোদ!
কথার মাঝে হীরা ডাকে কাকিমা কাকা সম্বোধনে
তালের পাখায় শীতল হাওয়ায় যতনে কুশল জানে।


হীরার রূপে হীরাই সে যে; ভুবন ভোলায় রূপ যাহার
শিক্ষা যতন আদপ কায়দা, যেমন রূপের বাহার
বাপ্ মা জয়ের দুজন ভাবে; পেলে বৌ মা এমন
আলোয় ভরবে শিক্ষা গুণে ভরবে ঘরের কোণ
প্রহ্লাদ বলে বন্ধু মোদের বাড়ি আসছো কবে?
চলতি মাসেই সারবো বিয়ে জলদি বেয়াই হবে,
নবাব শুনে খুশির জোরে জড়িয়ে বুকে ধরে
পরশু তবে আসবো বেয়াই শুভদিন ক্ষণ সেরে।


সুখের দোলায় দোলে হীরা দোলে গুরু জনে
বিয়ের হাওয়া মাতায় হিয়া জুড়বে শুধু মনে;
প্রহ্লাদ বলে যবনিকা টানে; বেলা যে শেষ হলো
আমরা তবে আসি আজিকে, নৌকা ঘাটে চলো;
হীরা দেখে আকাশ পানে, কালো মেঘ ঘনঘটা
আসবে বুঝি ঝড়ের হানি থাকলেই হতো হেথা;
জয়ের মায়ে বললে দুঃখে আমি না থাকিলে বাড়ি
করে না ছেলেরা কেহ রান্না; পড়ে থাকে ভাতহাঁড়ি
'ক' দিন পরে বৌমা হবে; ঘুরবো পালা পালি
রান্না বাধা রবে না তথা; ছেলেরাও পাবে শান্তি
বলতে বলতে নৌকা ঘাটে সবেমিলে দেয় বিদায়
দু পক্ষই গায় হলুদ রাঙায়; অন্তর রাঙে আভায়।



DHRITI RAJ
আসিতেছে.... মধ্যি পাড়ার বিল (আট)