বিদায় নৌকা ছাড়ে একূল মেঘের আগেই পেতে
খুশির কথা বলবে সবই, বৈইঠা টানের পরে;
গৃহিনী কহে মেঘের ভয়ে; শুনছো ওগো স্বামী
মাঝের বিলে এলাম বুঝিনে ধরবো বৈইঠা আমি?
ভ্রমর কালো ঝলক দেখ মোচড়ায় মেঘ উল্টে
বৃষ্টিফোটা লাগছে ঠোসা মাথায় উপর ঝাপটে।


ঝড়ের হাওয়ায় নৌকা ভাসায়ে কোন্ দিকেতে যায়
প্রহ্লাদ বলে বৈইঠা ধরো আগান গোলই নায়
বয়স কালে আর পারিনে, পারতাম যুব কালে
পেরিয়ে মধ্য আমরা এখন সাতআনা এপার বিলে;
স্বামীর কষ্টে বৈঠা ধরে; আগান গোলই জায়া
তারা পারের দায়ে বৈঠা টানে; দুজনে কতই মায়া
মধুর প্রেমের হৃদয় বাঁধন আধার পূণ্য তিতি
শুধু, যুগল প্রেমী সুজন সঙ্গী; রচে এমন বীথি।


বৃষ্টি এবারে আসিল জোরে ঝড়ো হাওয়ার বেগে
নৌকা ঘোরে ভেসেই চলে ঝড়ের তালের দিকে;
বৃষ্টি অঝোরে ঝড়ের কোপে হাফিয়ে নাভিশ্বাসে
কোন ঠাহরায় পায় না উপায়; বৈঠা প্রাণের ত্রাসে;
গাঢ় সাঁঝ মেঘে অন্ধকারে হারায় দিকের নিশান
প্রহ্লাদ মনে মাঝ গহীনে ভাসে দিন তার অবসান!


ঐ দানব মেঘ উঠিছে গর্জে আতঙ্ক হৃদ কম্পন
বজ্র ঝলকে দেখে পরস্পরে সাথীর স্নেহের বদন;
গর্জন ভয়ে ঝলসে জায়া ছোটে প্রহ্লাদ কোলে
বৈঠা ছেড়ে প্রিয়া আশ্রয়ে তাহারে জড়ায়ে ধরে;
দৈব শাসায় নিঠুর নেশায় আজি মেঘ যেন মহাকাল
কালের টানে লইবে পাড়ে নেই বুঝি তাই কোন ঢাল;
নৌকা মাঝে যুগল যোগে প্রণয় আলিঙ্গনে
বিরহ পিছন বুকের জ্বলন নেভায় বৃষ্টি জলে।



DHRITI RAJ
আসিতেছে....মধ্যি পাড়ার বিল (নয়)