কোনোদিন মা কোথাও থাকেনা দিন কথা ছাড়ি দিলাম
মানাই কি করে দুজনেই সেথা রাত্রেই নিলে বিরাম?
চার ভাই ঘুমে এঘরে ওঘরে বসে ভাবি বারান্দায়
এতো রাত হলো কই তারা এলো? এলোনা তো বার্তায়?
মনে আসে কথা গভীর ব্যথা; হৃদয়ে হুহু পুষে,
নেই কোন খিদে নেই ঘুম চোখে গুনছি প্রহর বসে;
মায়ের হাতে ছোঁয়ায় রাতে ঘুমাই সুখের ঘোরে
ভোরের ছোঁয়ায় ঘুম ভেঙে যায় স্নেহের পরশ পেলে।


শেষ প্রহরে শীতল হাওয়ায় তন্দ্রা চোখের পাতায়
বলিছে মা স্নেহের চাওয়ায় ভাবনা কিসের দাওয়ায়?
কোন্ সে মাঠে যাবে খোকা? ফিরবে বেলা থাকতে,
আজকে যথা অনেক কথা বলবো সাঁঝ বেলাতে;
গরম জল খেয়েই যাও; ভাতটা দুপুর বেলা
ছাতু মুড়ি দিলাম বাঁধি জলের বোতল গামলা;
ওঠো জয় সোনা কিসে ভাবনা রাখছি খবর গোপন,
শুধু শুনে রাখো খবর ভালো; দিলেই মাথায় নাডন
মায়ের ছোঁয়ায় তন্দ্রা ভাঙে ভোর হতে নেই বাকি;
আমি যাই উঠে ঘাটের পানে ভোরেই আসে যদি!


আঁধার ভোরে আধার ঘাটে দেখছি কচুর ধাপে
মোদের নৌকা ভাসছে সেথা চিন্তা মাথায় চাপে
ডুবু ডুবু ওই নৌকা খানা; ছুঁলেই যাবে অতল
ভাবছি কেমন আছেই ভেসে ঢেউ ভাঙে থল থল;
ঊষার প্রাতে আঁধার কাটে ঝাপসা ধীর চাহিয়া
নৌকা উপর দেহ কাহার; ভিরমি চাহি পড়িয়া;
তরাক কাঁপুনি চাহিয়া দেখি গোলই এপাশে বাবা!
ক্ষণেই চাহিতে মাঝের দিকে, পড়িয়া আছে যে মা!
ধরাস্ আঘাতে বুকের বামে ছিন্ন নাড়ির নাড়া
বিকট্ কান্নার নিনাদে ক্ষণেই নিঝুম হলো যে সাড়া।



DHRITI RAJ
আসিতেছে.... মধ্যি পাড়ার বিল (এগারো)