কেটে গেছে আজ বছর দশ গুণে সংসার বাঁধা
হীরা জয়ের পরম শক্তি জীবন সুরের বান্দা;
মায়ের অভাব ক্ষীণ সেভাব অলিন্দ হৃদ হীরা
বাবার কথা মনের ব্যথা হীরার বুকেই ঢাকা;
জয়ের বাঁশি আবার বাজে কোমল ইমন সুরে
বাড়ির দাওয়ায় হীরা দরদে গানটা দেয় জুড়ে;
কি দিয়া মন কাড়িলা তুমি জ্বলে পিড়িতি আগুন
সুর মিলিয়ে দেবর গাহে হীরার সাথেই তখন;
হীরা ক্ষণেই গানটা ধরে দেওরা খাবার খেয়ো
জীবন সিন্ধু দিলাম বন্ধু শুধু ভালোবাসা দিও।


যখনই বাঁশির সুরে মন হারিয়ে ওপার বিলে চাই
ছোট্ট বেলার দিনগুলি মোর দেখতে চোখে পাই;
ভাবি যথা জয়ের কথা সুরের ছোঁয়া পেলে
বাঁশির সুরে মন উদাসী হতেম সন্ধি কালে;
ভাবনা আসে মনের ফাঁকে কাজের চাপে ক্ষণে
গতর গায়ে খেটেই দুজন মানুষ করছি দেবরজনে।


জয়ের কাজে ভালোই চলে, পড়লে হাতে টান
বছর ভরে শাপলা ঢ্যাপে খৈয়ে রাখে মান;
শাপলা ঢ্যাপে খৈ বেচে পাই হাজার দশেক টাকা
বিল ভরসায় দেবর পড়াই নহিলে পড়াই কিবা;
মাঠের কাজে চাপের ফাঁকে চিড়ের গাঁওয়াল করে
দুঃখ সুখে চলছে জয়ের হদ্দ আদর জোরে;
বাঁশির ধুনন বিলের প্রাণ প্রাণ আমি তার হিয়ায়
তাইতো আমি নিষ্ঠা ভরি মাতি জয়ের সেবায়!



DHRITI RAJ
আসিতেছে..... "মধ্যি পাড়ার বিল" (পনেরো)