হঠাৎ এবারে মাঘের চাষে গিয়াছে বিলের শুকান
কেহবা বলিছে তিরিশ বছরে পড়েনি খরার টান;
সকাল বিকেলে জয় ভাবনায় ভেবে পায়না কূল
প্রখর রোদ কদিন চলিলে পুড়িবে চাষের মূল;
বিলের ধারের কাছে দূরের; মরলে মাঠের ফসল
কেহ না লইবে মাঠের কাজে; ভাবিয়াছে জয় অতল!


চাষের আধার নেই যে তাহার; পরের জনেই খাটে
এতো গুলি প্রাণ বাঁচাতে থাকে ; দিন রাত্রি মাঠে;
হুতাশ মনে যায় দুদিনে গাঁওয়াল ভোরে উঠে
বছর সমান ধানের টান; বদলে নাহি জোটে;
দু দিন শেষে ঘরেই বসে; ভাবিছে কাজের কথা
আরো ভাবে জয় হোক না বৃষ্টি ; মশুল ধারে হেথা।


পূবের দাওয়ায় হতাশা হাওয়ায় বাজায় করুণ বাঁশি
বাঁশির সুরে অনেক বারে নেমেছে অঝোর বৃষ্টি;
উন্মাদ থেকে উন্মাদ সুরে; বেণু আজ বুঝি মাতাল
সুরের বোলে মোহিত করে সে; খরারে করিবে নাকাল;
আকাশ বাতাসে খরা হুতাশে বিল দম্ভ বেমানান
শুকান বিলে বুকটি চিড়ে ; বেণুরে দিয়েছে জানান;
দেখে নাও মোর বুকের ভিতর; নীর অতলে খুঁজে
নিষ্প্রাণ তাই বুক চিড়ে যাই প্রাণটা কাহারো বাঁচে!


বেণুর সুরে বিল প্রাণ কাঁদে; কাঁদে জয়ের হীরা
দিনদশ আর চলিবে খাওয়ার হইবে তাহার কিবা;
রাত্রি বেলার ছিল যা আহার হীরা খেতে বলে কতবার
প্রাণের দায়ে বেহুশ আজি সে কানে পশেনা তাহার
প্রহরের পর রাতের প্রহর; বেনু সুরে রয় জাগি
ফাটিল ওষ্ঠ জয়ের নিষ্ঠ ছাড়িবার পাত্র নহে সে যোগী।


.


DHRITI RAJ
আসিতেছে..... "মধ্যি পাড়ার বিল" (ষোলো)