দিনরাত খেটে জয় হেসে চলে, চলে বেণুসুর তালে
হীরা ছেলে মিলে রোজপ্রাতেঃ ঐ শাপলার ঢ্যাপ তোলে;
জলশান্তি কলমি শাকে; ছেলেরে পাঠায় বাজার
সংসারে আয় বাড়ায় হীরা; সপ্তাহে দুই হাজার;
হাঁসের চাষ বিলেই বাস; চলিলো নিয়ম করে
ডিমের দামে হাঁসের মানে আয়ের বহর বাড়ে।


ভোরে উঠে জয় গাঁওয়াল যায় ফিরে মাঠ কাজ সারে
বাঁশের বাঁশি তাহার শশী আভায় ক্লান্তি হারে;
কঠোর শ্রমে দুই বছরে; কিনে জমি চার বিঘা
জয়ের স্বপন হয়েছে পূরণ মূলে সবটাই হীরা;
রমণীর গুণে সংসার যায় জীবন কাহারো বেঁচে
সুখেদুখে মনে হৃদয় কোণে বাঁধিলে আপন উটজে।


সেদিন সন্ধ্যায় বলে সেজভাই ধরেছে দলের নেতা
ভোটে প্রার্থী আমি হলে রাজি; সহজেই যাবে জেতা;
দাদা তুমি বলো রাজি কী হবো; সুযোগের দরজায়?
লাখ দুই টাকা দিতে হবে জমা; নিধি সংগ্রহে তায়;
জয় শুনে বলে স্নিগ্ধ স্বরে; সাধ্য আমার কিবা
শ্রমই বল নই আমি খল; টাকা পাইবো কোথা?


ভাইয়ের গোসায় রুষ্ট ভাষায় নীরবে সহিল পিন্ধা
তিন দিন ভাই রহিয়াছে পড়ে থাকে অনশনে জিন্দা
নিরুপায় জয় জীবনের ভয়; চাহে অবসর সময়
বয়ঃক্লিষ্ট উঁকি দিয়ে যায়; নাহি বিরামের উপায়;
ভাবিয়া হীরা জয়েরে দিয়া; রাখিল জমি বন্ধক
দেওরে দিলে সব টাকা ধরে; ছুটিল আন্ পলক।



DHRITI RAJ
আসিতেছে.... "মধ্যি পাড়ার বিল" (উনিশ)