মেঘ মল্লার সুরে দুঃখের ঘোরে বেণুর ভুবন পাগল
ইমন বিহাগ কাফী খাম্বাজ রাগেশ্রী বিলাবল;
জয়ের বেণুতে বৃষ্টি নেশাতে মাতিয়াছে বারবার!
আজি লগনে দুখ দুয়ারে; শুনিবে কি হাহাকার?
সন্ধ্যা ঘনায়ে আসিছে বিলে; নাহি কোনও দ্বীপ জ্বলে
শুকাইয়া বিল ফেটে চৌচির; বিমুখ হয়েছে জেলে।


জয় বাজায় বাঁশি পদ্মাসনে; হীরা শুয়ে কোল পরে
রাত্রি গভীর ক্লান্ত শরীর বাজান নাহিকো ছাড়ে;
হীরা তারে বলে শোন মন খুলে; তুমি মোর প্রিয় প্রাণ
থাকিলে তুমি সংসার আমি চালাবো বাজিতে জান;
মিছেই তোমার ভাবনা সাধন; প্রকৃতি আদতে চলে
বাধার বলে তন্ত্রে টানিলে; বিকল্পতায় ঢলে।


ভাই গেছে চলে সেই দিন হতে খাইয়াচ তুমি কবে?
রজনী গভীর খাও তুমি ধীর; ঘুমাও শান্ত ভাবে;
হাতেপায়ে ধরি সোনা মোর তুমি করিবে দয়া মোরে
বলিতে বলিতে তন্দ্রা ঘোরে; কোলেই ঘুমিয়ে পড়ে;
গভীর রাতে বাঁশির বাজান; পাড়ার লোকের দায়
আলতো চুমে হীরাকে জয় বিলের মাঝেই যায়।


অদ্ভুত রাত চন্দ্র সুজাত; বিলের বুকটা ফালাফালা
চৌচির আজ কলিজা সাজ অপারের কলি মেলা;
নিপট সুন্দর দখিনা মোচড় জুড়ায় প্রাণের বাহির
ভিতরে জ্বলে অধীর কলে; বাজায় বাঁশি মধুর;
আকাশ বাতাস উঠিল কাঁপি; দুইফালি মেঘ বয়ে
আনন্দে জয়; সে অশ্রুময়; লইবে সকলই সয়ে।


সরাৎ মরাৎ কোন্ সে শব্দে হীরা জেগে বসে দাওয়ায়
দেখে এপাশে একা শুয়ে সে; পোহায় নিশি হাওয়ায়
বিল মাঝ দূর ভৈরবী সুর; আসিতেছে ভেসে কানে!
রাত্রে জয় কোথাও না যায়; আজি কোন্ কারণে?
বাঁশি থামিল সুর হারালো; মেঘ গর্জনে মিশে
পশ্চিম কোণে ঝলকানি খেলে ওঠে বুঝি ঝড় শেষে!



ধৃতি রাজ
আসিতেছে..... “মধ্যি পাড়ার বিল“ (চব্বিশ)