চেতনা হীন একদেহে লীন; নাজানি কতখন ছিনু পড়ে
চেতনায় দেখি বৃষ্টিতে ভিজে কতলোক আছে ঘিরে;
অবসান অক্তে বেদনা লপ্তে চোখ চাহে প্রিয়জনে
অবশ চিত্তে নিহারায় খোঁজে নড়ন দেহ ক্ষীণে;
দুটি সংসার বিড়া সততায় ভরা দুদিকে রহিল পড়িয়া
নিষ্পাপ তবু চলেছে জীবন প্রকৃতির কোপে নিভিয়া!


হীরা রিক্ত বুকে শোক বিবশে; হয়েছে বিপল বোবা
গতকাল সাঁঝে বৃষ্টি হলে মন বিদাহী কেবা;
সৎকারে যায় মন ডুকরায় চেতনা হারায় হীরা
বিথান দেহ অঙ্গার হলো ভবের সাঙ্গ লীলা;
মায়ার সত্ব অধি মমত্ব, বিচ্ছেদ মূলে অধরা
তফাত হতে চলিলে তফাতে ডোবে অন্তর ধূরা।


বিরহ বিধুর কাটিছে প্রহর; চিড়িক যাতনা লাগে
নিষ্প্রাণ দেহে সংসার টানে; স্বজনে মানুষ করে,
আসিল শ্রাবণ ঝরে বর্ষণ খাওয়ায় পড়েছে টান
শাপলার ঢ্যাপে শালুক শাকে; বাঁচায় তাদের প্রাণ,
বিলের দান হীরার জীবন, জীবন তাহার বিলে
সুরের বাতাস রাঙায় আকাশ; দুখী হিয়ার মাঝে।


বিলের মাঝে কাজের ফাঁকে নিশ্চুপ ক্ষণে হীরা
তাঁর বাঁশির সুরে জুড়ায় হৃদে হীরার মনের ব্যথা;
এরপর হতে অতি খরাতে চৈত্রে বিল শুকালে
সেইদিন রাতে পায় শুনিতে সুরের জাদু সকলে;
রজনী শেষে সুরের টানে নামে অঝোরে বৃষ্টি
বিলের কুল প্রাণ ফিরে পায় নতুনের চলে সৃষ্টি!



                        সমাপ্ত


ধৃতি রাজ