পরের বছর পাগলা ছেলে দাঁড়িয়ে গাজন সভায়
মন ভারী তার আদর যতনে কৌতুক দেখে পাড়ায়,
হঠাৎ কাহার ঘাড়ের ফাঁকে লাফিয়ে আসর মাঝে
পাগলা রাম দেখায় ক্ষেপে কামারে হাফর সেজে,
এই ছুটে যায় ব্যাঙের মতন নিচু মাথায় যেমন
উঠিয়া পড়িছে হাফর ভাঁজে ফস্ ফস্,করে তেমন,
আগুন মুখে দেয় সে ফু লোহার গরম টুকরো
পিছন পানে চলতে গিয়ে অসাম্যে পড়ে উল্টো,
অনিচ্ছায় মন কৌতুক তাই অল্প ছাড়ল ভাই;
এতেই খুশি দর্শক দল ভাঙল আসর দাওয়ায়।


শেষ বছরে জোড়াল মনে হলে কৌতুকে হাজির
হাত তালিতে কান যে ফাটে ফারচ মজার হাসির,
ফারচ দেখায় বেঁকে কুঁজে প্যান্ট জামা তার ছেঁড়া
বেজায় খুশি শিশুর দল করছে যে চোখ ট্যাঁড়া,
হাসির রোলে রোল পড়েছে আসরে নালু বসে
হাসতে গিয়ে বাতকর্মে খিল ধরে তলপেটে!
পাগলা রামা দেখিয়ে দিলে খোঁড়া বুড়োর বেশে
বুড়ি বুড়া চ্যেংড়ী ছোঁড়া হেসেই বেহুশ শেষে,
হাসতো পিসি হাসতো মাসি বলবো কি আর খেদে
কত না লোকে মিস্ করে আজ গাজন সময় হলে,
ফারচ শেষে ঘরে ফিরে বলে কত পেল কদর;
আজি চেয়ে দূর পানে ঐ মাটির দেওয়াল ঘর।।



DHRITI RAJ
আসিতেছে...মাটির দেওয়াল ঘর (চতুর্থ খন্ড)