আসবে কি আর পাগলা রাম? আসবে কবে ফিরে?
বাড়ির বাইরে উঠন খানে গাজন দশায় সেজে,
মাটির ছেলে শান্তি প্রিয় মাটির মতো মন গড়ানো
কচাল কথায় যতই রাগাও রাগে না রাম কখনো,
বছর শেষে চৈত্র মাসে ভোরের হাজরা সভা
সেরার সেরা কৌতুকী তাই , চায় হতে চায় রামা,
শরীর খানা লম্বা তো নয় কেউ নেই যে বামুন বলে
সারে চার ফুট উচ্চতা তার ফ্যারকা পায়ে দুলে চলে,
হাত দুটি তার খ্যাংড়া মতন গোঁফ নাই তাও করে যতন
পরলে তপন গামছা ব্যাটন দেহটাই যেন ফারচ গঠন,
কালো মুখে দুধের সাদা সামনের দুটি দাঁত কোদালা;
সদাই মিষ্টি হাসির ঝলকা রঙ পেনসিলে যেন আঁকা,
চোখের ভ্রু ভাবছো কেমন? অর্ধ চাঁদের অর্ধেক যেমন
নাক মুখ মাথা শরীর গঠন হাতির কানে মানান নয়ন,
গুনতে তাহার মাথার চুল; চাও যদি তাও করবে ভুল
প্যান্ট জামা সবই বড় ঝুল ফারচ সময় পরে দুল
দুই চোখেতে আরো পরে ব্যটারীর লাল ইনস্যুলেটর;
যেন ফুটছে মণি রক্তলাল দেখতে যে চোখ ভয়ঙ্কর
রঙ বেরঙের প্যান্ট জামা জেনো হরেক রকম সাজ;
সব খানাতেই খুঁজে পাবে ছেঁড়া ফাটা শত ভাঁজ
নিতম্ব তার বেজায় খাসা প্যান্ট দড়িতে বাঁধা;
দড়িই রামার কোমর বেল্ট খুললে লাগবে ধাঁধা।।



(১. ব্যাটন >কোমরে জড়িয়ে বাঁধা ~গ্রাম্য ভাষা)
DHRITI RAJ


আসিতেছে... মাটির দেওয়াল ঘর (দ্বিতীয় খণ্ড)