বিনি রামার ঘর করা তাই বছর চারটিখানা;
কতক গাঁয়ের সবাই জানে হয়তো কতক অজানা,
বাপ্ মা-হারা গরিব দুখী বিনির হৃদয় চিকন;
ভাবতো বসে দিদুর পাশে রামধনুকের হয় কত রঙ,
আজসে স্মৃতি অনুক্ষণে দেয় নাড়া দেয় বিনির মনে;
বিয়ের পরেও ছিল বেঁচে বছর খানেক মোর দিদুনে,
থাকসে কথা মন গহনে, কই গেল রামা শুধাই কারে;
দুদিন হলো ঘর ফাঁকা যে; যথা তথা হয়তো গ্যাচে,
ফিরবে বাড়ি হয়নি আড়ি ফিরবে নিচিত ফারচ শেষে;
হয়তো রামা আটকে আছে আদর পেয়ে কোনসে গাঁয়ে,
কত কথাই মনে ভাসে অকসর সে কাজের মাঝে;
কোনও কাজে মন বসেনা; উপায় আমি পাই না খুঁজে।


দুদিন পরে হাটের দিনেও এলো না তো রামা বাড়ি
ধরাস্ করি বুকখানা মোর উঠলো বেজায় নাড়ি,
যতই দূরে যাক্ না দেশে ভিন্ গাঁয়েতে ফার্চে মজে;
হাটের দিনে বাড়ি ফিরে যায় সে হাটে মুড়ি ব্যাচে,
চাল ডাল আর সব্জি কেনে তবেই দুদিন খাওয়া চলে;
আজ রামা যে হৃদয় ভাঙে বিনি সাঁঝে ভাবে বসে,
আঁধার রাতের দাওয়া খানা ক্রমেই আধার হয় অচেনা;
ক্লান্ত শবে ভুখা পেটে গভীর রাতেও নিদ আসেনা,
প্রহর শেষে ঠকাস্ শুনি খুলি আসি দরজা খান;
উঠোন মাঝে পড়েছে দিখি শুকনো আমের ডাল,
তিন পুরুষের পূর্বে রোপন ঘরের পাশে গাছ;
ভাঙি ব্যাকুলে করিছে বুঝি দুঃখেরই প্রতিভাস,
কোন কাজ তার আসেনা হাতে, কাজ নাহি যে আর;
ছিল কাজ সবই, রামার জন্য, রামাই গলার হার,
দিন তিন চারি না খেয়ে বারি আহা কি মরি মরি!
শীর্ণ জীর্ণ দেহ খানি হল, পাটিতে রহিল পড়ি।।



DHRITI RAJ
আসিতেছে....মাটির দেওয়াল ঘর (সপ্তম খন্ড)