দিনরাতি হায় কোথা দিয়ে যায়, বুঝিতে সে নাহি পারি;
কত না স্বপ্ন এঁকেছিনু তায়, মাটির দেওয়াল ঘিরি,
কোন বুঝ মনে আসে না ক্ষণে, দেওয়ালের পানে চাহি;
নীরব দেওয়াল ঘর খানা শুধুই অশ্রু বেদনা সাথী,
অতিব ক্লেশে পাড়া পড়শি, নালুরে ডাকিয়া কয়;
দাদা তোর আজ পাঁচ দিনরাত, বাড়িতে নাহি যে রয়,
জানি আমি জানি তোর কাছেগ্যা করে কত মন সায়
করে ডর বুক হয়েগেছি মূক, জানিস গ্যাচে কোন্ গাঁয়?
ঘনশ্বাস ফেলি নালু বলে উঠি, বলেছে তর্ক মাঝ;
কার কাছে যেন শুনিয়াছে দাদা, কাতুকুতু বুড়ো সাজ,
বৃদ্ধ সে যে কেমনে হাসায়, জানিলে তা নিশ্চয়;
হতেম আমিও হাসির রাজা, পাশাপাশি দশ গাঁয়।


নালু কহে শেষে মিষ্টি হেসে, গ্যাচে শিখিতে তায়;
দেখনা বৌদি আর কটাদিন, কিবা তাহা আসে যায়,
যাক্ না যেথা আইবে হেথা গেছে ভালো কোন কাজে;
শুধু শুধু তুমি করিছ চিন্তা, চিন্তা করছো বাজে,
শুনি মনখানা হইল হালকা আঁচলে মুছিয়া জল;
অল্প নাড়ি জীবনে আমার ফিরি দিল বুকে বল।


সকালে উঠি কোন্ কাজ করি ভেবে ভেবে হই সারা;
আগে পরে ধীরে এলোমেলো করে বিষম যে পাই ব্যথা,
দুখে কষ্টে অতি বিবশে জীবন জ্বলিয়া পুড়ি;
হাট বাজারের সকলই সাধি, নীরবে ভাজি মুড়ি।।


DHRITI RAJ
আসিতেছে..... মাটির দেওয়াল ঘর (অষ্টম খন্ড)