কাটিল মাস কাটিল বছর এলো না রামার খবর;
ভারী বুকখানা হয়েছে পাষাণ ঘর খানা মোর কবর,
পেমপ্রীতি স্নেহ মায়ার বাঁধন; দুঃখ যতন বেদন;
মাটির দেওয়াল ঘরের ভিতর; বাটে বাটে আছে গাঁথন,
দুখির সাথী দেওয়াল মাটি; পরম আপনজন;
যত ব্যথা কলি, বেদনার বুলি; করে তা সমর্পণ,
আশায় আশায় মন যাতনায় বুঁজি আর আঁখি খুলি;
দিনে শতবার রাতে কতবার ভাবি এলো বুঝি স্বামী,
শরীর ভারে বাঁকা কোমরে বিনির হৃদয় শূন্যপ্রায়;
খাটিয়া গতরে বছরে বছরে; পড়িল অকাল জীর্ণতায়।


প্রতিরুপ হলো দেওয়াল গুলো নিষ্প্রাণ তারা আজ ;
বছরে বছরে ঝরে পড়ে রঙ মাটির দেওয়াল সাজ,
ঘরের ছাউনি দিয়েছিল বুনি দুবছর আগে ঋণে;
পারিনি দিতে টাকার হিসেবে, কত পণ কাড়ি গুনে,
এবার বর্ষায় ঝাঁঝর চালায় পড়ছে যে জল অঝোর;
একোণ ওকোণ সব ভেজা তাই. থাকছি চোকির ভিতর,
ভিজে যবযব হয় রোজরোজ নাই যে তাহার উপায়;
আসিলে রামা ছেঁড়া প্যান্ট জামা চাহিবে তা নিশ্চয়,
উঠিতে বসিতে জোর নাহি তবু রোদ্দুরে দেয় মেলে;
কোন কমতি রাখেনা বিনি, শুকিয়ে যতনে তোলে।


যতদিন গেল অভাবে জড়ালো শরীর অচল ভারী;
মাঝেমাঝে ভাবে কোন্ অভিশাপে "হয়েছি আমি নারী,
থালাবাটি সবই, দিয়াছে বিকি; আছে শুধু চোকি কাঁথা;
দিছে পাহারা বিনিরে ঘিরিয়া মাটির দেওয়াল সেনা,
মন ভাবনা আমার রামা আসিবে গাজন মাসে;
বছর সাতে গিয়াছে যে ঝড় থামিবে সে ঘাত শেষে,
সহসা কানে আসিল ভেসে কি জানি কোন্ দেশে;
করোনা কি যে বুঝিনে বাপু করাল করেছে গ্রাসে,
দুদিন দুয়ারে আসেনা দুপুরে আসিতো কোমল রোজই;
এক মুঠো ভাত দিয়ে যেত পাত, বলিত কথা দুখানি।।


DHRITI RAJ
আসিতেছে........"মাটির দেওয়াল ঘর" (নমব খন্ড)