দুপুর গড়িয়ে শববাহী গাড়ি নিয়ে গেল দেহ খানা
পড়সী সবে করোনা ভয়ে করিল না কেহ মানা,
ঘর হতে কেহ দেখিল ঝলক; কেহ বা জানালা দিয়ে
দীর্ঘশ্বাস কেহ ছাড়ি কহে বাঁচিল সে চিরতরে,
সাঁঝ নিঝুমে রাত আসিল বাড়িঘর দাওয়া ফাঁকা
দেয়াল মাটি বাটভাঙে নিজে নিঃশেষ করে একা,
গভীর রাতে উড়িল তুফানে বাকি বাঁশ খড় চালা
ছিন্ন দেয়ালে চিত্ত জুড়ায় সকল শোকের ব্যথা,
সুখ দুখ হাসি কান্নায় ভরা অধি মায়া সংসার
ক্ষিতি অপ তেজ মরুৎ ব্যোমে মাটিই প্রাণের সার।


কতশত ভোর কত কোলাহল কত দিন হলো গত
চাহে না কেহ ভাঙা দেওয়ালে বিরহ সে বিজড়িত,
শুধু নিশীথে কেহবা দেখে রামা দেওয়ালের মাঝে
নির্জনে বসে বিরহ কাতরে মুখ বুজে একা কাঁদে!


শেওলা জড়ায়ে জীর্ণ চীর্ণ মাটির দেওয়াল ঘর
বিরহ ব্যথায় ছেঁড়া জামারে করেছে বুকের পর,
শেষ নিঃশেষে মায়ার বাঁধনে শত ঘাত বুকে সয়ে
রয়েছে নীরবে দেখিবে বিনির বাহারগোলা গাঁয়ে,
এক মনে ধ্যানে আজও দাঁড়ায়ে আছে শুধু পথ চেয়ে
নিত্য আপন ছুঁয়ে বুকখানা ধুবে সে অশ্রু দিয়ে।


                      সমাপ্ত


DHRITI RAJ