বিচ্ছিন্ন ছন্দে ছড়ানো রাস্তা-খুপরি-অফিস
মাথায় যেন শুধু পায়ের যোগাযোগ, আসলে
পাতার তলদেশে সরু সরু শিরা--শরীর
থেকে রক্ত শুষে নেয় শুঁয়োপোকা রোগ।


চোখের সামনে নগ্নতায় আচ্ছাদিত সময়--
আধশোয়া বয়সের উদ্দাম ব‍্যস্ততা।
ছবি তোলার কোন অভিপ্রেত উন্মার্গ নয়
দেখছি শুধু সোফায় ছেড়ে নিজেকে, কাছাকাছি।


ক্ষুধার্ত মুখের সামনেটা হাড়ের মতো শক্ত
অস্থির কোন কুকুরের লালার স্রোত যেন--
উজানে বেয়ে চলা সবকিছুর
স্বাভাবিক পরাজয় জানুর কাছে রাখা, সমাপ্তি নেই।


কেনা শরীর অতঃপর আলো নিভিয়ে দেয়
উন্মত্ত রাত শহরের তলপেটে অগুনতি কামড় বসায়,
বাড়ি ফেরে অসাড় ঘষটে চলা তলি'পা
ফুঁপিয়ে ওঠে কলিংবেল বা শব্দ কড়া নাড়া‌।


স্তনের বৃন্তে ছুটে চলা অজস্র শিরা-উপশিরা
বুকের পাতায় জন্মানো কয়েক মুক্তোকণাজল--
হাতের তালু দিয়ে ধুয়ে-মুছে দিচ্ছি, তখনও, আমি দেখছি সুখ কিনতে চেয়ে সরীসৃপের অক্ষম বুকে হাঁটা।